অনেকেই রয়েছে নিজের মুঠো ফোনেই আবদ্ধ থাকতে ভালবাসে। সঙ্গী কী চাইছে সেদিকে খেয়ালই থাকে না। তাতে অনেক সময়ই সঙ্গীর প্রতি অবিশ্বাস তৈরি হয়।
যে কোনও সম্পর্কই উপেক্ষার কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিয়ের সম্পর্কের ওপর সঙ্গীর উপেক্ষা আরও বেশি প্রভাব ফেলে। অনেক সময় উপেক্ষার কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে সম্পর্ক। তবে বর্তমানে উপেক্ষার একটা বড় কারণ হল স্মার্টফোন। অনেকেই রয়েছে নিজের মুঠো ফোনেই আবদ্ধ থাকতে ভালবাসে। সঙ্গী কী চাইছে সেদিকে খেয়ালই থাকে না। তাতে অনেক সময়ই সঙ্গীর প্রতি অবিশ্বাস তৈরি হয়। স্মার্টফোনেই যদি সময় কাটাতে হয় তাহলে স্বামীস্ত্রী একটাই ফোন ব্যবহার করুন অবসরে। দুজনের মনের মত একটি কোনও সিনেমা বা গান শুনতে পারেন। কিন্তু স্মার্টফোন এমনই যা কথনই হয় না। প্রত্যেকেই এর মধ্যে নিজের একটা জগৎ তৈরি করে। যেখানে অন্য কারও প্রবেশাধিকার নেই। তাতেই দূরত্ব বাড়তে থাকে দম্পতি। আর সেই সময় বিবাহিত সম্পর্কেও ভেঙে যায়।
স্মার্টফোনের কারণে উপেক্ষা
গবেষণা অনুসারে, নিয়মিতভাবে ফুবিংয়ের ফলে সম্পর্কের বৈবাহিক সন্তুষ্টির মাত্রা কমে যায়। ফোনের ক্রমাগত বাধা একটি সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা এবং বিরোধপূর্ণ অনুভূতির অভাব হতে পারে।
নিয়মিত ঝগড়া
অত্যধিক ফোন ব্যবহার সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই মতবিরোধ সৃষ্টি করে। তাতে অনেক সময়ই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের থেকে বেশি গুরুত্ব পায় ফোন। তাতেই দূরত্ব তৈরি হয়। একই ঘরে থাকলেও দুজনের মধ্যে কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব বেড়ে যায়। যা কোনও দিনও মেটার নয়।
মানসিক দূরত্ব
স্মার্টফোনে ব্যস্ততার কারণে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে শুধু শারীরিক নয় মানসিক দূরত্বও তৈরি হয়। দুজনের চিন্তাভাবনায় বিস্তর ফারাক হয়। দুজনে কথা কম বলার জন্য সমস্যা সমাধান করা সম্ভবপর হয়। যা থেকে সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে।
পালাতে সাহায্য
অত্যধিক ফোন ব্যবহার সম্পর্কে অংশীদারদের মধ্যে ফুবিং প্রায়শই মতবিরোধ সৃষ্টি করে। এই উত্তেজনা পরিত্যাগের অনুভূতির দ্বারা বা সম্পর্কের উপর ফোন প্রাধান্য পায় এমন উপলব্ধি দ্বারা আনা হতে পারে। তাতে সম্পর্কের দূরত্ব ক্রমশই বাড়তে থাকে।
প্রত্যাখ্যান অনুভব
মৌলিক মনস্তাত্ত্বিক প্রয়োজনীয়তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে আত্মসম্মান, জীবনের উদ্দেশ্যের অনুভূতি, নিয়ন্ত্রণ এবং স্বত্ব। এটি মানুষকে নিকৃষ্ট, বিচ্ছিন্ন এবং এড়িয়ে যাওয়া বোধ করতে পারে।