ভোটের মনোনয়নে তিনি জানিয়েছেন তথাকথিত নিয়মমাফিক কোনও পেশার সঙ্গে তিনি যুক্ত না থাকলেও তিনি ফ্রিল্যান্স লেখালেখি করেন ও পড়ান। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অতিথি অধ্যাপক হিসেবে পড়ান তিনি। তিনি জানিয়েছেন পড়িয়ে ও লিখেই তাঁর এই মুহূর্তে বার্ষিক আয় সাড়ে আট লক্ষ টাকা।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বামনেতা কানহাইয়া কুমার। ২০১৬-য় আফজল গুরুর একটি সভায় দেশদ্রোহী স্লোগান তোলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। এবার বিহারে নিজের এলাকা বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে বাম প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন কানহাইয়া।
ভোটের মনোনয়নে তিনি জানিয়েছেন তথাকথিত নিয়মমাফিক কোনও পেশার সঙ্গে তিনি যুক্ত না থাকলেও তিনি ফ্রিল্যান্স লেখালেখি করেন ও পড়ান। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অতিথি অধ্যাপক হিসেবে পড়ান তিনি। তিনি জানিয়েছেন পড়িয়ে ও লিখেই তাঁর এই মুহূর্তে বার্ষিক আয় সাড়ে আট লক্ষ টাকা।
এছাড়াও সম্পত্তি বলতে তাঁর রয়েছে পৈত্রিক বাড়ি। যদিও এই বাড়ির দাম মাত্র ২ লক্ষ টাকা। এই মুহূর্তে কানহাইয়ার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৪৮ টাকা। হাতে রয়েছে নগদ ২৪ হাজার টাকা।
কানহাইয়ার বাবা পেশায় কৃষক ও মা অঙ্গওয়াড়ির কর্মী। বাবা কৃষক হলেও নিজেদর কোনও জমি নেই তাঁদের।
তবে শুধু পড়িয়ে ও লেখালেখি করেই নয়। বাম যুবনেতা বিহার টু তিহার নামে একটি বই লিখেছেন। এই বইয়ের রয়্যালটি থেকেও কিছু টাকা উপার্জন করেন কানহাইয়া।
বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে কানহাইয়ার বিপরীতে লড়ছেন বিজেপি থেকে গিরিরাজ সিংহ এবং আরজেডি-র তনবীর হাসান।
প্রসঙ্গত, ২০১৬-য় আফজল গুরুর সভায় স্লোগান তোলার পর থেকেই নজরে চলে আসেন কানহাইয়া। সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর সঙ্গী উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য।