টানা আটদিন ভেন্টিলেশনে, করোনাভাইরাসকে হারিয়ে দিল দুই মাসের শিশু

  • নার্সিংহোম থেকে কী ছড়াল সংক্রমণ?
  • টানা আটদিন ভেন্টিলেশনে ছিল খুদে
  • করোনাভাইরাসকে হারিয়ে নজির গড়ল সে
  • দেশের সর্বকনিষ্ঠ করোনাজয়ী, দাবি চিকিৎসকদের

করোনার আতঙ্কে যখন থরহরিকম্প অবস্থা সকলেই, তখন ভাইরাসকে হেলায় হারিয়ে দিল একরত্তি শিশু! টানা আটদিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর মাস দুয়েকের শিশুটি সেরে উঠেছে। চিকিৎসকদের দাবি, এমন নজির গোটা দেশে আর দ্বিতীয়টি নেই। সর্বকনিষ্ঠ করোনাজয়ী সে। 

আরও পড়ুন: পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ স্বামীর, সদ্যোজাতকে কুয়োয় ফেলে 'খুন' মা-এর

Latest Videos

কতইবা বয়স তখন! মাত্র চল্লিশ দিন। গত ২০ জুলাই থেকে জ্বরে ভুগছিল শিশুটি। শ্বাসকষ্টের কারণে কান্না থামছিল না। বাড়ির লোকেদের নজরে পড়ে, রীতিমতো হাঁপড়ের মতো ওঠানাম করছে ওইটুকু শিশুটির বুকটি! এক সপ্তাহ পরে যখন অবস্থা কোনও উন্নতি হল না, তখন আর ঝুঁকি নেননি বাবা-মা। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সটান হাজির হন কলকাতার পার্ক সাকার্সের এক শিশু হাসপাতালে। প্রাথমিক এক্স-রে রিপোর্টে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন, নিউমোনিয়ার কারণে জ্বরে ভুগছে শিশু।  কিন্তু রক্তে অক্সিজেনের মাত্র এত কম কেন? একরত্তি শিশুরও করোনা টেস্ট করানো হয়। পজিটিভি রিপোর্ট আসে! বাবা-মা কোল ছাড়া যে কোথাও যায়নি, তারও শরীরের করোনা সংক্রমণ! হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরা।
 

আরও পড়ুন: '২০১৬-য় মমতার জয় ফেসবুকের হাত ধরে', বিজেপির পর তৃণমূল-এর সঙ্গেও আঁখি-যোগের অভিযোগ

হাসপাতালে শিশুটি সুস্থ করতে তুলতে লড়াই শুরু করে দুই চিকিৎসকের 'নিকু টিম'। পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে, শিশুটিকে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়েও স্বস্তি পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকরা। কারণ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কিছুতেই বাড়ছিল না। শেষপর্যন্ত ভেন্টিলেশনেও উপুড় করে শুইয়ে দেওয়া হয় খুদেটিকে। কিন্তু ঘটনা হল, কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর কিন্তু আর ঝুঁকি নিতে চায়নি পার্ক সার্কাসের ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে কথা বলে শিশুটি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঝুঁকিই শুধু নয়, আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স তা সম্ভব হত না। শেষপর্যন্ত শিশুটির মা অনুরোধে বদলে যায় সিদ্ধান্ত।

এখন প্রশ্ন হল, বাবা-মা তো নেগেটিভ, তাহলে শিশুটি করোনা সংক্রমণের শিকার হল কীভাবে? পূ্র্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের একটি নার্সিংহোমে জন্মেছে শিশুটি। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, সেই নার্সিংহোম থেকে ভাইরাস ঢুকেছে শরীরে। কোনও কারণে একটু দেরিতে উপসর্গ দেখা দিয়েছে শিশুটির। আবার এমনও হতে পারে, শিশুটির বাবা-মা হয়তো উপসর্গহীন ছিলেন। নির্দিষ্ট সময় পরে তাদের শরীর থেকে ভাইরাস বিদায় নিয়েছে। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কম হওয়ায় বিপদে পড়েছে বাচ্চাটি।

Share this article
click me!

Latest Videos

সামান্য ডিম 'চুরি' সন্দেহে এত বড় কাণ্ড ঘটবে কেউ বুঝতে পারেনি! | Shantipur News Today | Bangla News
Konnagar-এ অবৈধ জলের কারবার ফাঁস! হাতেনাতে পাকড়াও অবৈধ ব্যবসায়ীদের, দেখুন | Hooghly News Today
'Bangladesh-এ Israel-এর মতো অ্যাকশন করতে হবে!' বিস্ফোরক Suvendu Adhikari #shorts #shortsvideo
'আপনার লজ্জা লাগেনা মমতা! ভোটার লিস্টে নাম, জঙ্গিরা দিচ্ছে ভোট' জোর ঠুকলেন Suvendu Adhikari | BJP
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে Mamata-কে প্রশ্ন Suvendu-র, পাল্টা ক্ষোভ উগরালেন Kunal Ghosh