সাধারণতন্ত্র দিবসের শোভাযাত্রা থেকে বাংলার কন্যাশ্রী ট্যাবলো বাদ পড়ায় শুরু রাজনৈতিক চাপানউতর। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে সরকার। তাই বাংলার উন্নয়ন দেশবাসীর সামনে আনতে চায় না তারা। যদিও বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর বক্তব্য়, রাজ্য় তথা দেশকে নিচু দেখানোর চেষ্টা করছে বাংলার কন্যাশ্রী ট্যাবলো, তাই তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অন্যরা। যদিও বাংলার ট্য়াবলো নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য় করে বসলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এদিন তিনি বলেন, এই রাজ্যের কন্যাশ্রী ট্যাবলো রাজ্য ও দেশকে নিচু দেখানোর চেষ্টা করে ৷ তাই তাকে বাতিল করা সিদ্ধান্ত সঠিক৷ বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে বিজেপির একটি সাংগঠনিক বৈঠক ছিল ৷ যেখানে রাজ্যের ১০ টি সাংগঠনিক জেলার মন্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য নেতারা ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু সহ অনেকেই ৷
এই সভা থেকে উপস্থিত মন্ডল সভাপতিদের এনআরসি ও সিএএ নিয়ে ইতিবাচক দিক বোঝানোর কৌশল বাতলে দেন নেতারা। বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই মানুষের কাছে এই দুই আইন নিয়ে নেতিবাচর প্রচার চালিয়েছে। তাই পরিস্থিতি শোধরানোর জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে মন্ডল সভাপতিদের মাধ্যমে পাল্টা প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য জুড়ে ৷ তারই প্রশিক্ষণ বৈঠক এদিন হয়েছে রাজ্য জুড়ে ৷
এদিন সায়ন্তন বসু বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সবাই মিথ্যা প্রচার করছে। কীসের জন্য় এই আইন তা বোঝানোর জন্য় আলোচনা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়েও যারা প্রচার করছে, তারা আগে বিদ্যুতের বিল কমিয়ে দেখাক ৷ আমরা ক্ষমতায় এলে এ রাজ্যে বিদ্যুতের দাম অনেক কমিয়ে দেব৷ এদিন কন্যাশ্রী ট্যাবলো দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের শোভাযাত্রা সারি থেকে বাতিল করা নিয়ে সায়ন্তন বলেন, এই ট্যাবলো বাতিল করা সঠিক সিদ্ধান্ত ৷ কারণ এই ট্যাবলো বাংলা ও দেশের সম্মানকে ক্ষুন্ন করতো ৷ তাই সঠিক কাজ করা হয়েছে ৷