সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর : সায়ন্তন বসুর পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁকে আটকালো পুলিশ। খেজুরিতে আহত বেজিপি নেতাকে দেখতে যাচ্ছিলেন সৌমিত্র খাঁ।
গতকাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি দু'নম্বর ব্লকে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে এক বিজেপি কর্মী গুলিতে আহত হয়। আহত পবিত্র দাস কে দেখতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আসে বিষ্ণুপুরের সংসদ সৌমিত্র খান। আহত সৌমিত্র দাসের বাড়িতে যাওয়ার পথে বাজকুলে আটকে দেয় পুলিশ। পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে আহত পবিত্র দাসের সাথে দেখা করে। সৌমিত্র খানের অভিযোগ পুলিশের কাজ বিরোধী দলগুলোর নেতাদের আটকানো। জমিদারের মত লেঠেল বাহিনী গঠন করেছে।
সম্প্রতি খেজুরিতে বিজেপিক নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্য় বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, আমাকে কাঁথিতে যেতে দেওয়া হয়নি। আমি কাঁথি গেলে আজকের এই ঘটনা ঘটত না।খেজুরির ঘটনা নিয়ে বললেন সায়ন্তন বোস।আজ বিকালে জাঙ্গীপাড়া রাজবলহাটে দলীয় অনুষ্ঠানে এসে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক বলেন,খেজুরিতে বিডিও অফিসের সামনে বিজেপি কর্মীরা কর্মসূচি করছিল। সেখানে তৃণমূল গুলি চালিয়েছে। সাতজন বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।
জেলা সম্পাদক প্রদীপ্ত দাঁ ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি।গতকাল থেকেই ওখানে বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর আগুন দেওয়া হয়।এই কারণে আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি।আমি গেলে তৃণমূল আর পুলিশের জয়েন্ট ভেঞ্চার সফল হত না,বলেন সায়ন্তন। এছাড়া বীরভূম মুরারই এ প্রচুর বিস্ফোক উদ্ধারে এনআইএ তদন্তের দাবি করেন সায়ন্তন বসু।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা এখানে আসেন বিস্ফোরক রাখেন,মিটিং করেন,প্ল্যান করেন,আর অন্য রাজ্যে এক্সিকিউট করেন।মুরারই এর ঘটনা প্রমাণ করে আগুনের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে গেছে,আমরা বারুদের স্তুপে বসবাস করছি।বীরভূম থেকে বেশিদূর না খাগড়াগড়।সেখানে কি হয়েছিল সবাই জানি।বীরভূমের তৃণমূল নেতা,যারা তৃণমূলের হয়ে ভোট করায়,কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠন একজোট হয়ে কাজ করছে।