মেদিনীপুরের উরুষ উৎসবেও এবার করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। মেডিক্যাল পরীক্ষার পরই উৎসবে যোগ দেওয়ার অনুমতি পেলেন বাংলাদেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীরা। মেলা প্রাঙ্গনেও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা রাখছে স্বাস্থ্য দফতর।
প্রতি বছরই মেদিনীপুরের উরুষ উৎসবে বাংলাদেশ থেকে যোগদান করেন। এবারও মিঞাবাজার এলাকায় এই উৎসব শুরু হয়েছে। হজরত মহম্মদের বংশধর হজরত মোরশেদ আলি আল কাদেরি-র প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। যিনি ইরাকের বাগদাদ থেকে ওড়িশার চাঁদবালি বন্দর হয়ে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। তাঁর প্রয়াণ দিবসে এই উৎসবের আয়োজন করেন তাঁর বংশধর হজরত সৈয়দ শাহ রশিদ আলি আল কাদেরি।
আরও পড়ুন- করোনাভাইরাসের দাপটে বিধ্বস্ত চিন, এবার ভোট করা নিয়ে নয়া বিপদ
আরও পড়ুন- মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ২৪ দিন, চিন থেকে মায়ের দেহ ফেরাতে লড়ছেন চিকিৎসক ছেলে
এবার উরুষ উৎসব ১১৯ তম বছরে পড়ল। এবারও অন্যান্য বছরের মতো বাংলাদেশি পুণ্যার্থীদের এই মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কথা মাথায় রেখে একসঙ্গে বেশ কয়েক হাজার বাংলাদেশি এ রাজ্যে পা দেওয়ায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বাংলাদেশি পুণ্যার্থীদের নিয়ে একটি ট্রেন এ দিন সকালেই মেদিনীপুর স্টেশনে এসে পৌঁছয়। আগেই স্টেশনে প্রস্তুত ছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি মেডিক্যাল টিম। ট্রেন থেকে বাংলাদেশি যাত্রীরা নামতেই তাঁদের কারও মধ্যে করোনা ভাইরাস- এর উপসর্গ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা নিজে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের করোনা ভাইরেস নিয়ে সচেতন করতে লিফলেট-ও বিলি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এই পুণ্যার্থীরা মেদিনীপুরে থাকবেন। সেই সময় পর্যন্ত তাঁদের নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পুলিশকর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে।