নির্ভয়াকাণ্ড থেকে শুরু করে হালফিল হায়দরাবাদের ভেটেরেনারি চিকিৎসকের গণধর্ষণকাণ্ড চোখে আঙুল তুলে দেখিয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তার হাল-কে। এর জেরে এবার মহিলাদের আত্মরক্ষায় সাবলম্বী করার উদ্যোগ নিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। রাজ্য সরকারের সুকন্যা প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলে-স্কুলে এবার ছাত্রীদের দেওয়া হবে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ। বৃহষ্পতিবার মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে পুলিশের কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট কর্মসূচিতে ওই প্রকল্পেরই শুভ-সূচনা হয়েছে৷ মেদিনীপুর শহরের দুটি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই কাজ শুরু হয় ।
এদিন থেকে মেদিনীপুর শহরের দুটি স্কুল অলিগঞ্জ গার্লস ও বাংলা গার্লসের ছাত্রীদের নিয়ে ক্যারাটে প্রশিক্ষণের সূচনা হয়। আপাতত সপ্তাহে একদিন করে স্কুলে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন ক্যারাটে প্রশিক্ষক সিহান রাসবিহারী পাল ও তাঁর টিম। প্রাথমিকভাবে অলিগঞ্জের ১২০ জন বাংলা গার্লসের ৮০ জন ছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে শহর ও জেলার অন্যান্য স্কুলগুলিতেও এধরনের প্রশিক্ষণ হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় পৌনে দু হাজার হাইস্কুল আছে। সব স্কুলে হয়তো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তবে পরবর্তীকালে থানাভিত্তিক ক্যারাটে প্রশিক্ষণের শিবির হতে পারে। যাতে ওই থানা এলাকার স্কুলগুলির ছাত্রীরা সেখানে ১৫–২০ দিনের ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। এসবই শেখানো হবে ছাত্রীদের আত্মরক্ষার স্বার্থে। কোথাও, কোনও পরিস্থিতিতে বিপদে পড়লে তারা যেন নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেরাই করতে পারে।
কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট কর্মসূচিতে এদিন সুকন্যা প্রকল্পের সূচনার পাশাপাশি সম্পর্ক প্রকল্পেরও সূচনা হয়। যার মধ্যে শহরের গরীব দুঃস্থ এক হাজার জনের মধ্যে কম্বল বিতরনও করা হয়। হাজির ছিলেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল, পুলিশসুপার দীনেশ কুমার, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, বিদায়ী পুরপ্রধান প্রণব বসু, নির্মাল্য বন্দোপাধ্যায়, গোপাল সাহা থেকে শুরু করে অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।