২৫০ বছরের ঐতিহ্য, এবছর নমোনমো করেই হচ্ছে মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো

  • ২৫০ বছরের পুজোয় করোনার থাবা
  • এবছর নিয়মরক্ষার পুজো মহিষাদলে
  • ১৭৭৪ সালে প্রথম পুজো শুরু হয়েছিল
  • নমোনমো করে হচ্ছে এবছরের পুজো

Asianet News Bangla | Published : Oct 18, 2020 6:30 AM IST / Updated: Oct 18 2020, 12:03 PM IST

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর-আড়াইশো বছরের পুজোয় থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণ হলেও এবছর হচ্ছে নিয়মরক্ষার। পুজো আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনও পর্যন্ত পুজোর প্রস্তুতি সেভাবে চোখে পড়েনি। ঢিমেতালে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। রাজবাড়ির আঙিনায় সাধারণ মানুষের সেভাবে আনাগোনা নেই। আড়াই বছরের ঐতিহ্যে এবছর যেন থেমে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-ভার্চুয়ালে এবার পুরুলিয়ার দুর্গাপুজো, ফেসবুক, ইউটিউবে সরসরি দেখতে পাবেন দর্শকরা

পূর্ব মেদিনীপুর মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। জানাযায়, এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জনার্দন উপাধ্যায়। পঞ্চম পুরুষ আনন্দলাল উপাধ্যায়ের কোনও পুত্র সন্তান না থাকায় রানি জানকী রাজ কর্মের সমস্ত দায়িত্ব নেন। ১৭৭৪ সালে তিনি কূল দেবতা মদন গোপালের সাথে আরও অনেক মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। এর কিছু পরেই দুর্গাপুজোর সূচনা করেন রানি জানকী। তারপর থেকে দেখতে দেখতে আড়াই বছর ধরে দুর্গাপুজো চলে আসছে মহিষাদল রাজবাড়িতে।

আরও পড়ুন-তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা, বিডিও অফিস চত্বরে সংঘর্ষে জড়াল দুই পক্ষ

মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর বিশেষত্ব হল, প্রতিপদ থেকে ঘটোস্থাপনের মধ্য দিয়ে পুজোর সূচনা। কিন্তু এবছর মহালয়ার এক মাস পরে পুজো হলেও পঞ্জিকা তিথি অনুযায়ী প্রতিপদ থেকে পুজো হবে। কূলদেবতা মদনগোপাল হওয়ায় বৈষ্ণব মতেই হয় দেবীর আরাধনা। মা এখানে এক মেড়েই বিরাজমান। এখানে তিথি ধরে মায়ের ভোগ হয়। আগে পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমীতে সাত মন চালের ভোগ হত। কিন্তু এখন তা মণে না হয়ে কেজিতে নেমে এসেছে। দিন-সময় পেরোলেই আজও জৌলিুস বজার রেখেছে রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রতিবছর পুজোয় অঞ্জলী দেওয়ার ভিড়ও হত। কিন্তু, এবছর জৌলুস হারিয়েছে মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো। করোনার থাবায় জমায়েত এড়াতে নিয়মরক্ষার পুজো হতে চলেছে এবছর। 


 

Share this article
click me!