কাকভোরে গ্রামে ঢুকল হাতির পাল, চাষে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা মেদিনীপুরে

  • ৩০টি হাতির একটি দল গ্রামে ঢোকায় আতঙ্ক
  • কংসাবতী নদী পেরিয়ে হাতির দল গ্রামে ঢোকে
  • সদ্য রোয়া ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
  • বন দফতরে খবর দিয়ে হাতি তাড়ায় গ্রামবাসীরা
     

Asianet News Bangla | Published : Sep 4, 2020 6:16 AM IST / Updated: Sep 04 2020, 11:53 AM IST

শাজাহান আলি, মেদিনীপুর-শুক্রবার কাকভোরে হাতির আতঙ্ক ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরে। কংসাবতী নদী পেরিয়ে গ্রামে হাতির পাল ঢোকায় চাষে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন গ্রামবাসীরা। মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল এলাকায় এদিন ভোরে হাতির পাল ঢুকে যায়।

বনদফতর সুত্রে খবর , ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া এলাকা থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি হাতির একটি দল শুক্রবার ভোররাতে কংসাবতী নদী পেরিয়ে মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল এলাকায় ঢুকে পড়ে। এলাকায় ঢুকেই মণিদহ, ফরিদচক, পলাশিয়া সহ আশাপাশের বিভিন্ন গ্রামে ধান চাষে ব্য়াপক ক্ষতি করে হাতির দল। 

গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকার প্রায় ৫০ বিঘা জমির রোয়া ধান নষ্ট করে ফেলেছে। গ্রাম থেকে হাতি তাড়ানোর জন্য বন দফতরকে খবর দেন গ্রামবাসীরা। বনকর্মীরা আসতে দেরি করায় গ্রামবাসীরে মিলিতভাবে নিজেরাই হাতি তাড়ানোর উদ্য়োগ নেয়। তাঁদের তাড়া খেয়ে এলাকার জঙ্গলে আশ্রয় নেয় হাতিগুলি। অভিযোগ, হাতির দল জমির ফসলের ক্ষতি করলেও কোনও ক্ষতিপূরণ মেলে না বন দফতর থেকে। 

যদিও, ওই এলাকায় হাতির পাল ঢোকা প্রথম নয়। খাবারের খোঁজে প্রায়ই ওই এলাকায় হাতি ঢুকে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। হাতির তাণ্ডবে বারবার চাষে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করেন গ্রামবাসীরা। হাতি গ্রামে ঢোকা রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থার জন্য বন দফতরের কাছে আবেদন জানানো হলেও তাঁরা কর্ণপাত করেন না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
     
 

Share this article
click me!