'পরপর তিনদিন সকালে চারটি করে দানা খেতে হবে।' করোনা প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর বিভাগ থেকে বিনামূল্যে ওষুধ বিলি করা হচ্ছে মেদিনীপুর শহরে। দুটি দলে ভাগে হয়ে বাড়িতেও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে নজরে পরিযায়ী শ্রমিকেরা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবি কংগ্রেস বিধায়কের
করোনা আতঙ্কে গ্রাসে গোটা রাজ্য। পশ্চিম মেদিনীপুরে সাতজন সিআরপিএফ জওয়ান-সহ সংক্রমিত হয়েছিলেন ১১ জন। ৬ জন জওয়ান ও দাসপুরের একটি পরিবারের তিনজন সদস্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসা চলছে আরও এক আরপিএফ জওয়ান ও এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের। দিন কয়েক আগে আবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক রোগীর শরীরের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তিনি হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে অটো-ওলা-উবার করে হরিশ্চন্দ্রপুরে পরিযায়ী শ্রমিকরা, আতঙ্কে তটস্থ মানুষ
আরও পড়ুন: 'করোনা যোদ্ধা'র স্বীকৃতি, অ্যাম্বুল্যান্স চালককে সংবর্ধনা স্বাস্থ্য দপ্তরের
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রোগীদের ভিড় বাড়ছিল। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শহরের দুই প্রান্তে দুটি হাসপাতাল তৈরি করেছে প্রশাসন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগের কোনও ওষুধ নেই। রোগীদের উপসর্গ দেখেই চিকিৎসা করা হয়। হোমিওপ্যাথি ওষুধে কি কাজ হবে? মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত সাহা জানিয়েছেন, 'করোনা চিকিৎসা নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আর্সেনিকাম অ্যালবাম নামে একটি ওষুধ বিলি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক। দেখা গিয়েছে, যাঁদের এই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের করোনায় হচ্ছেন না। যদিওবা আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে অসুখ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যাচ্ছে না।' সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেকেই হোমিওপ্যাথি ওষুধটি সংগ্রহ করছেন এবং খাচ্ছেনও।