সমুদ্রের গর্জনেও গভীর নিস্তব্ধতা। একের পর এক ঢেউ তীরে এসে নির্জনতায় বিলীন হয়ে যেত। রাত-দিন দিঘার বুকে এক সময় ভিড়ে ঠাসা থাকত মানুষ। এখন সেই জায়গাটাই অচেনা। সারা বছর দিঘার সেই চেনা ছবিটি আজ যেন একটু অন্য রকম। করোনার থাবায় লকডাউনে ঘরবন্দি সবাই। ফলে সমুদ্র সৈকতে আসার ঝুঁকি নিচ্ছেন না কেউ। যার জেরে মার খেয়েছে হোটেল ব্যবসা।
সংক্রমণ বেড়েই চলেছে কলকাতায়, কন্টেইনমেন্ট জোন ছুঁল ৩৩৮.
রাজ্য়ের বাস্তব চিত্র বলছে, নিস্তব্ধতার অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে দিঘা। হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকা এখন অথৈ জলে। সমুদ্রের টানে লক্ষ লক্ষ পর্যটকের ভিড়ে জমতো দিঘায়। জীবন চলতো হাজারো মানুষের। হকার থেকে ছোট দোকানদার, ভ্যান রিকশা চালক থেকে গাড়ি চালক। এতো গেলো একটা দিক, তার থেকেও বড় দিক হলো হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষ।
বিজেপিকে করোনা অস্ত্রে ঘায়েল করার পরিকল্পনা, গুজরাতের ভিডিয়ো আনছে তৃণমূল.
যাদের মাসে সামান্য বেতন বা প্রতিদিনের বেতনের ব্যবস্থা ছিল তাদের অবস্থা সঙ্গিন। দিঘায় ১০০০-১২০০ হোটেল যেখানে প্রতি হোটেলে ৫-১৫ জন কাজ করতো তারা সকলে আজ দিশেহারা। হোটেল মালিকরা এপ্রিল মাস পর্যন্ত বেতন দিতে পারলেও আর দেওয়ার ক্ষমতা আর নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে বহু হোটেল কর্মী হোটেল ছেড়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য় না করলে হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এই কর্মী তথা হোটেল ব্যবসার বিপুল ক্ষতি হবে। অবলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিক সরকার।
করোনা আতঙ্কে জনরোষ থেকে মুক্তি, কলকাতার একটি এটিএমের ঠান্ডা ঘরে বিষধর সাপ তুলল ফোঁস.
পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে লকডাউন উঠলেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এখনই দিঘায় যাবার পর্যটকের সংখ্যা হবে হাতেগোনা। কিন্তু সেসব ভবিষ্যতের কথা। হাজারো অট্টালিকার নিস্তব্ধতায় দিঘা আজ শূন্য ভূমি। হাজারো হাজারো মানুষ প্রহর গুনছে কবে আবার প্রাণ ফিরে পাবে দিঘা।