বিমল গুরুং নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে তোপ দাগলেন সিপিআইএম পলিট ব্যুরো নেতা মহম্মদ সেলিম, বুধবার সন্ধায় পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনি হাজির হয়েছিলেন দলের নিজস্ব সোস্যাল সাইট উদ্বোধন ও সোস্যাল মিডিয়া কনভেনশনে ৷ সেখানে বিমল গুরুং এর প্রত্যাবর্তন নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন, মহাষষ্ঠীতে বারাসাতে মোদি, রাত পেরোলেই করবেন পুজোর উদ্ধোধন
মমতার দৌলতে পুলিশ প্রশাসনের অপদার্থতা স্পষ্ট
তিনি বলেন-'গোটা দেশে মোদী আমিত সাহ এবং আমাদের রাজ্যে তেমন মমতা মুকুল রাজনীতিকে একটা দোকান বাজারে পরিনত করেছে ৷ এমএলএ,এমপি গরু ছাগলের মতো কেনা বেচা হয়, রাজনীতিক দল নেতা গোষ্ঠীও কেনাবেচা হয় ৷ যারা জাতি, ধর্মের নামে রাজনীতি বিকৃত রাজনীতি করে,তারা নিজেদের বিক্রিও করে ফেলে ৷আজ দেখলাম মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের দৌলতে পুলিশ প্রশাসনের অপদার্থতা স্পষ্ট ৷ এখানে একসময় দাপুটে ভারতী ঘোষ ছিল, মানস ভুইয়াকে মার্ডার কেসে ছোটাচ্ছিল৷ তৃণমূলে চলে যেতেই সাত খুন মাফ হয়ে গেল৷ তাকে এমপি করে দেওয়া হল৷ বিমল গুরুং-কে পুলিশ নাকি হন্যে হয়ে খুঁজছিল, সে নাকি লুকিয়ে ছিল৷ সে তখন বিজেপির আশ্রয়ে ছিল৷ আজকে পুলিশের প্রহরায় সে এসেছে গোর্খা ভবনে' বলে দাবি করেন তিনি। মমতার দৌলতে পুলিশ প্রশাসনের অপদার্থতা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন, পুজোর মাঝেই পাড়ি দিন পোর্টব্লেয়ার, সপ্তমি থেকেই ফের চালু কলকাতা-আন্দামান বিমান পরিষেবা
যারা খুন করেছে জঙ্গলমহলে তাদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে
সিপিআইএম পলিট ব্যুরো নেতা মহম্মদ সেলিম আরও জানিয়েছেন, 'আজকে দাড়িয়ে তার মানে এটা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য করেছে ৷এর আগে এমন অনেককেই দেখা গিয়েছে ৷বিমল গুরুং বুঝিয়ে দিল-আসলে পুলিশ যখন হন্যে হয়ে খুঁজছিল , আসলে সে আমন্ত্রন পত্র নিয়ে ঘুরছিল মমতার ৷ যেমন সিবিআই ইডি করছে শুভেন্দু, মুকুল দের ক্ষেত্রে ৷ আসলে বিজেপিতে কবে যোগ দেবে তার নিমন্ত্রন দিচ্ছে ৷ মোদী , অমিত শা, মমতা, মুকুল এরা রাজনীতিটাকে বিকৃত জায়গায় নিয়ে গেছেন ৷ যেখানে আইন আইনের পথে চলে না লাইনের পথে চলে ৷ যারা খুন করেছে জঙ্গলমহলে তাদের মমতা বন্দোপাধ্যায় পুরষ্কৃত করেছে ৷ যারা খুন হলে তাদের জন্য কিছু করলেন না ৷এটাই হল অপশাসনের একটা নিদর্শন'