রাত থেকে বর্ষণ, মেদিনীপুর শহরের বাড়ির মধ্যেই হাটুজল

  • বুধবার রাত থেকেই বর্ষণ শুরু হয়েছিল
  • যার জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জলমগ্ন
  •  শহর সংলগ্ন এলাকায় বাড়িতে হাটুজল
  •  

Asianet News Bangla | Published : May 28, 2020 10:24 AM IST / Updated: May 28 2020, 03:57 PM IST

বুধবার রাত থেকেই বর্ষণ শুরু হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন এলাকায় তার জেরে জল জমে বাড়ির মধ্যেই হাটুজল পরিস্থিতি। মেদিনীপুর পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে, হবিবপুরে বহু বাড়িতে হাঁটুর বেশি জল জমেছে।

মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে, ধর্ম এলাকার পাশেই রয়েছে হবিবপুর। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সড়কের পাশে থাকা জল নিকাশি গুলি সংস্কার বন্ধ রয়েছে।বর্তমানে মেদিনীপুর পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় কাউন্সিলররাও হাত তুলে নিয়েছেন। ফলে ঐ সমস্ত নিকাশি গুলি একেবারে বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য " দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ওই সমস্ত নিকাশি গুলি কোনরূপ সংস্কারে নজর দেয়নি পৌর প্রশাসন। যার জেরে একেবারে জল নিকাশি বন্ধ রয়েছে।সে কারণে বুধবার রাত থেকে সামান্য জল হতেই রাস্তাসহ পাশাপাশি বাড়িগুলি জল ঢুকে বন্যার আকার নিয়েছে। নিজেদের পরিবার বাঁচাতে নিজেরাই উদ্ধারের চেষ্টা করছেন সকলে।"

স্থানীয় বাসিন্দা সমিরন কাপড়ি বলেন-" বিগত কয়েক বছর ধরেই নিকাশি নালা সংস্কার বন্ধ রয়েছে। তারপর বহু বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। সবমিলিয়ে জল বের হবার কোনো রাস্তা নেই।সম্পূর্ণ প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণেই এই সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।" জাতীয় সড়কের পাশে থাকা হবিবপুর এলাকার কুড়িটির বেশি বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জল থৈ থৈ অবস্থা দেখা যায়। জলের সঙ্গে সাপ ও অন্যান্য পোকামাকড় প্রবেশ করছে ঘরে। রান্না করার মতো পরিস্থিতিও নেই বাড়ি গুলিতে। ছোট বাচ্চা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে সমস্যায় পরিবারগুলি।

বিষয়টি জনপ্রতিনিধিরা অনেক হলেও বেলা এগারোটা পর্যন্ত কেউই হাজির হয়নি ওই এলাকায়। অগত্যা নিজেরাই নিজেদের মত করে উদ্ধার হওয়ার চেষ্টা করেছেন বাসিন্দারা। পরে মহকুমাশাসক দিননারায়ণ ঘোষ বলেন-" এলাকার নিকাশি সমস্যা রয়েছে। বহু বাড়ি নির্মাণ হয়ে গিয়েছে। আমরা এমকেডিএ ও নানা বিভাগকে নিয়ে বৈঠকে বসছে খুব শীঘ্রই।মাস্টার প্ল্যান করে জল নিকাশের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ততক্ষণ পর্যন্ত ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়ার নিচ্ছি।"

Share this article
click me!