ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব থেকে এখনই রেহাই নয়। আবহাওয়া দপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, এই ভোগান্তি চলবে অন্তর আরও চার থেকে পাঁচদিন।
বুধবার সন্ধের পর থেকে কলকাতা-সহ রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বেগে যায় ঝড়। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার গতিবেগে হতে থাকে এই কালবৈশাখী। সেই সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বেগে বৃষ্টি। যার জেরে বিভিন্ন জেলায় উপড়ে পড়ে গাছ, বিদ্য়ুতের খুঁটি। ভেঙে পড়ে অসংখ্য় মাটির বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালেও বৃষ্টি নামে। আকাশ মেঘলা থাকে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের আশঙ্কা, আমফানের রেশ কাটতে-না-কাটতে, আবার কি তবে ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হবে রাজ্য়।
আবহাওয়া দপ্তর স্পষ্ট জানাচ্ছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে ফের ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। শুধু তাই নয়, এই ঝড়বৃষ্টি চলবে চার থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত।
বুধবার সন্ধে ছ-টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা পর্যন্ত কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই ১৬ ঘণ্টায় ধাপায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ৬৫ মিলিমিটার, নিউ মার্কেটে ৫৯ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি সংলগ্ন অঞ্চলে ৫৮ মিলিমিটার, তোপসিয়ায় ৪২ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ৩৫ মিলিমিটার, পামার বাজারে ৩৮ মিলিমিটার, উল্টোডাঙায় ৩০ মিলিমিটার, কালীঘাটে ৩৫ মিলিমিটার, জোকায় ৪৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি বেশি হলেও, বাদ যাবে না উত্তরবঙ্গও। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। রবিবার থেকে কালিম্পং, দার্জিলিং , আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতায় এদিন মেঘলা আকাশ থাকবে। দফায় দফায় বজ্রবিদ্য়ুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। আলিপুরে সকাল আটটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৩৬.৯ মিলিমিটার।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, স্ট্রং সাউদার্লিতে ভর করে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে বঙ্গোপসাগর থেকে। পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এই পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা বিহার বাংলা ও অসমের উপর দিয়ে গেছে। এর টানেও প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে। যার জেরে আগামী কয়েকদিন ধরে চলবে ঝড়বৃষ্টি।