সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর-৩১ অক্টোবর নন্দীগ্রামে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন দলীয় ব্যানার ছাড়াই সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। ওইদিন নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের সেই সমাবেশ থেকে কার্যত হুঙ্কার ছুঁড়লেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মুখে আনলেন না কোনও রাজৈনৈতিক দল বা তৃণমূল নেত্রীর নাম।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের সমাবেশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, ''জয় নন্দীগ্রামের জয়। দেখা হবে রাজনীতির মঞ্চে। কাউকে ভয় পায় না শুভেন্দু অধিকারী। চলার পথে কোথায় কানাখন্দে ভর্তি, কোন গর্তে হোঁচট খাচ্ছি, বলব রাজনীতির প্লাটফর্মে''। নন্দীগ্রামের সভায় দাঁড়িয় এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ১০ নভেম্বরের সভা ঘিরে জল্পনা চলছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কোনও দলীয় সমাবেশ ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজের ব্যানারে নন্দীগ্রামের এই সমাবেশ থেকে নানান সমীকরণ উঠে আসার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। তবে, সব জল্পনাই জল ঢেলে দিলেন শুভেন্দু। বললেন, ''এই মঞ্চ পবিত্র মঞ্চ, আমার মত কি? পথ কী? এই প্লাটফর্মে আমি বলব না''।
পরের মুহূর্তেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ''আমি নতুন লোক নই, চেনা বামুনের পইতের দরকার হয় না। ক্ষমতার দম্ভ নিয়ে আমি লড়াই করিনি। দেখা হবে লড়াইয়ের ময়দানে। দেখা হবে রাজনীতির মঞ্চে, লড়াইয়ে মানুষ জিতবে, বাংলা জিতবে''। মন্তব্য শুভেন্দুর। যদিও এই মন্তব্যের সময় তৃণমূল দল বা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম মুখেও আনলেন না শুভেন্দু অধিকারী। এর থেকে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, নন্দীগ্রামের এই সমাবেশ মঞ্চ থেকে কী আভাস দিতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী?
আরও পড়ুন-'আমরা দাদার অনুগামী', শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে এবার পোস্টার পড়ল নদিয়ায়
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে প্রতিবছর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকে নন্দীগ্রামে সমাবেশে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। এই সমাবেশ ঘিরে প্রথম থেকেই জল্পনা চলছিল। এদিনের নন্দীগ্রামের সভায় উপস্থিত ছিলেন দিবেন্দু অধিকারী থেকে ফিরোজা বিবি, মেঘনাথ পাল সহ তৃণমূলেলর দাপুটচে নেতারা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মুখে আনলেন না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম।