প্রতিশ্রুতিই সার,বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মমতাকে দু'হাজার রেজিস্ট্রি চিঠি সম্পদ কর্মীদের

  • দৈনিক দেড়শো টাকা সাম্মানিকের ভিত্তিতে কাজে নিয়োগ
  • রাজ্যের পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এই কর্মী নিয়োগ
  • অভিযোগ বেতন বাড়ানোর কথা বলেও কাজ হয়নি
  • তাই মুখ্য়মন্ত্রীকে ২ হাজার চিঠি পাঠাল কর্মীরা

Asianet News Bangla | Published : Feb 6, 2020 3:34 PM IST / Updated: Feb 20 2020, 12:33 PM IST

রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে ২০১৫-১৬ সালে একদল কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। গ্রামীণ সম্পদ কর্মী তথা ভিলেজ রিসোর্স পার্সন নামে এই কর্মীদের দৈনিক দেড়শো টাকা সাম্মানিকের ভিত্তিতে কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই কর্মীরা নিজেদের বেতন পরিকাঠামো বৃদ্ধির দাবি করেছিলেন কয়েকবার। দাবি না মেটায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দুই হাজারের বেশি সম্পদ কর্মী রেজিস্ট্রি পোস্ট চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রীকে। দিলেন আন্দোলনের লিখিত হুঁশিয়ারি ৷

কলকাতার ডাক্তার গৃহিনীর কামুকপনায় অতিষ্ঠ স্বামী, বিয়ে বাঁচাতে পায়ে 'ড্রাইভ' স্ত্রী-র

গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের কাজ প্রতিদিনই নিজ এলাকায় ঘুরে পতঙ্গবাহিত রোগ জীবাণুর সন্ধান করা। পরিবেশে পতঙ্গ বসবাসের অবস্থান কেমন তা সুনিশ্চিত করা।সেই সঙ্গে এই ধরনের ক্ষতিকারক পতঙ্গদের বিনাশের ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করা, ও পতঙ্গ নাশক উদ্যোগ নেওয়া। এই সমস্ত তথ্য প্রতিদিনই স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হয় কর্মীদের।পঞ্চায়েত দফতরের মাধ্যমে এই নিয়োগ করা হলেও কাজ করতে হয় স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে।প্রতিদিনই নিয়ম করে নিজেদের কাজ সুপারভাইজারকে বুঝিয়ে দিলেও তাদের বেতন ও অন্যান্য পরিকাঠামো থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ তাদের।

কেজরিওয়ালের পথ ধরেই কি বিধানসভার বৈতরণী পার হতে চাইছেন মমতা

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এরকম কর্মীর সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। রাজ্যে মোট ৩৩ হাজার ৭২৫ জন কর্মী রয়েছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকে এই সমস্ত কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জমায়েত করেছিলেন। সেখানে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে নিজেদের দাবিপত্র পৃথক পৃথকভাবে রেজিস্ট্রি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। সারা বাংলা গ্রামীণ সম্পদ কর্মী নামক সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হয়েছে। 

করোনা মোকাবিলায় সতর্ক কলকাতা চিড়িয়াখানা, কড়া নজরদারি বিদেশিদের উপরে

সংগঠনের কেশপুর ব্লক সভাপতি বসন্ত ঘোষ বলেন," আমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে বহুবার শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে জানিয়েছিলাম। প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পাইনি। লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বেতন বিন্যাস নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরের দেখা হলেও আমাদের পরিস্থিতি কিছুই বদলায়নি। তাই নিজেদের দাবি সনদ প্রত্যেকে মনে করিয়ে দাবিপত্র প্রত্যেকে পৃথক পৃথকভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে রেজিস্ট্রি পোস্ট করে পাঠালাম নবান্নতে। পদক্ষেপ না নিলে এবার অন্য ভাবে আন্দোলন করবো।

Share this article
click me!