শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার ঘিরে জল্পনা। রাস্তার ধারে শুভেন্দু হোর্ডিং লাগানো এই পোস্টারে লেখা রয়েছে পতাকা বাঁধা কমিটি। কিন্তু সম্প্রতি এই ধরনের কোনও সংগঠনের নাম শোনেনি জঙ্গলমহল। সেই নাম আবার শুভেন্দু অধিকারীর হোর্ডিংয়ে। কিন্তু কেন? তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে রাস্তার ধারে এই ধরনের পোস্টার পড়ে। যেখানে লেখা রয়েছে 'শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ, লালগড়, পাতাক বাঁধা কমিটি'। আবার তারিখ লেখা আছে, ৯ অগাস্ট, ২০১০। রাজনৈতিক মহলের মত, তাহলে কী অনুগামী সমস্যায় পড়েছে লালগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস? শালবনীতে জাতীয় সড়কের ধারে মণ্ডলকূপি এলাকায় এই ধরনের হোর্ডিংকে সেভাবে আমল দিচ্ছেন না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ''দেখা হচ্ছে কে এই ধরনের হোর্ডিং লাগিয়েছে। তবে বিরোধীরা এই ধরনের কাজ করতে পারে''।
আরও পড়ুন-মাঝরাতে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, চম্পাহাটিতে আতঙ্ক
শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসে খোঁজ নিয়ে জানা গেল এই পতাকা বাঁধা কমিটির রহস্যটা কী? জানাগেছে যাঁরা শুভেন্দু সমর্থনে এই হোর্ডিং লাগিয়েছেন, তাঁরা আসলে তৃণমূলের পুরনো কর্মী। সেই দলে থাকা শালবনীর বাসিন্দা রাহুল সিং রাজপুত বলেন, ''২০১০ সালে আন্দোলনের সময় আমরা অনেক কাজ করেছিলাম পতাকা, হোর্ডিং বাঁধা নিয়ে। আমরা চাই তৃণমূল পুরনো কর্মীদের উপযুক্ত সম্মান দিক। শুভেন্দু দা সহ তাঁর সংস্পর্শে থাকা লোকজনকে কেমন যেন কোণঠাসা করেছে তৃণমূল। তাই আমরা পতাকা বাঁধা কমিটি নাম দিয়ে শুভেন্দুর সমর্থনে আন্দোলন করছি''।
আরও পড়ুন-গাড়ির সঙ্গে ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, দুর্ঘটনার কবলে কলকাতার ৫ পর্যটক
বিধানসভা ভোটের আগে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে জঙ্গলমহলের রাজনীতিতে। শুভেন্দু অধিকারী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর আরোগ্য কামনায় যজ্ঞ হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। পাশাপাশি, বেশ কিছু দলীয় সংগঠনের কাজেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছবির বদলে শুভেন্দুর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। তাহলে শুভেন্দু তৃণমূল দল থেকে দূরে সরে যাওয়ায় জঙ্গলমহল তৃণমূলে অনুগামী সমস্য়া বাড়ছে। এখন এই প্রশ্নই ঘোরাঘুরি করছে পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজনীতিতে।