থানার ভিতর থেকেই বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছিল মাওবাদীদের থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। শেষ পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র চুরি করে বিক্রির অভিযোগে থানারই এসআই- কে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে থানারই একজন এনভিএফ কর্মী ছাড়াও স্থানীয় দুই গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের এ দিন মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরের নাম তারাপদ টুডু। তিনি বর্তমানে জামবনি থানায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে লালগড় থানায় থাকাকালীন মালাখানার দায়িত্ব ছিল তারাপদ কুণ্ডুর উপরেই। অভিযোগ, মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িতদের থেকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলি থানার লক আপেই রাখা থাকত। সম্প্রতি সেই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্রর হিসেব মিলিয়ে দেখার সময় আঠারোটি আগ্নয়াস্ত্র কম পড়ে। বিষয়টি নজরে আসতেই জেলা পুলিশের কর্তাদের জানানো হয় থানার তরফে। এর পরই শুরু হয় তদন্ত।
এই ঘটনায় উঠে আসে অভিযুক্ত তারাপদ কুণ্ডুর নাম। এ দিন জামবনি থানা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে লালগড় থানার প্রাক্তন এনভিএফ কর্মী লক্ষ্মীরাম রানা, দুই গ্রামবাসী দিলীপ সেনাপতি ও সুধাংশু সেনাপতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চড়া দামে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি দুষ্কৃচীজেক কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত এসআই। ধৃতদের জেরা করে খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এই চক্রে আর কোনও পুলিশকর্মী বা অন্য কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মাওবাদী উপদ্রবে একসময় অশান্ত হয়ে উঠেছিল লালগড়। সেই সময়ই পুলিশি অভিযানে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশর হাত ঘুরে সেই সমস্ত জিনিস ফের দুষ্কৃতীদের হাতে চলে যাওয়ায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন।