পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার ঘটনা নিয়ে গোলমালের মাঝেই এবার বিড়ম্বনায় শালবনীত তৃণমূলের বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো ৷ শনিবার গোয়ালতোড়ের একটি উচ্চবিদ্যালয়ে বর্যপুর্তি অনুষ্ঠান মঞ্চে একই সারিতে ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমের সঙ্গে দেখা গিয়েছে ৷ শ্রীকান্তের দাবি- আমি না দেখেই বসেছিলাম ৷ দেখতে পেয়ে মঞ্চ ছেড়ে সরে গিয়েছিলাম ৷ শ্রীকান্তবাবু মঞ্চ থেকে নামার আগেই অবশ্য মোবাইলের দৌলতে আলোকচিত্রীদের ক্যানভাসে ধরা পড়ে গিয়েছেন তিনি। আর সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের দৌলতে তা পৌঁছেও যায় মানুষের হাতে-হাতে।
উল্লেখ করা যেতে পারে গোয়ালতোড়ের কালাবতী পেড়ুয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই এই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। শনিবার দুপুরে ছিল উদ্বোধন অনুষ্ঠান। সেখানেই একমঞ্চে দেখা গিয়েছে স্থানীয় ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম ও শালবনীর বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে। উদ্যোক্তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বেলা বারোটা নাগাদই স্কুলের অনুষ্ঠানমঞ্চে পৌঁছে যান সাংসদ কুনার হেমব্রম। তার কিছুক্ষণ পরে আসেন বিধায়ক শ্রীকান্ত। তবে বেশীক্ষণ একসঙ্গে থাকেননি। মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু করতে প্রদীপ প্রজ্বলনের জন্য দুজনের ডাক পড়তেই ভিরমি খান শ্রীকান্ত। একসঙ্গে অবশ্য প্রদীপ প্রজ্বলনে অংশ নেননি। তার আগেই নেমে নিজের গাড়িতে বসে সেখান থেকে সরে পড়েন তিনি।
স্কুল কর্তৃপক্ষও পড়ে যায় বেজায় অস্বস্তিতে। তারা তাড়াতাড়ি কুনারবাবুকে সম্বর্ধনা দিয়ে বক্তব্য রাখতে বলে দেন। বক্তব্য রাখা শেষ হলে তড়িঘড়ি তাকে খাইয়ে-দাইয়ে বিদায় দিয়ে দেন উদ্যোক্তারা। কুনারবাবু চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর ফের মঞ্চে আসেন শ্রীকান্তবাবু। তারপর যথারীতি তিনি ভাষণও দেন। কুনারবাবু বলেছেন, মুখে সৌজন্যতা ও সংস্কৃতির কথা বললেও বিন্দুমাত্র সৌজন্য ছিল না বিধায়কের আচরণে। শিক্ষাকেন্দ্রের আঙিনায় পড়ুয়াদের কাছে নক্কারজনক রাজনীতি তুলে ধরছে তৃণমূল। যা চরম শিষ্টাচার বিরোধী বলেই অভিযোগ করেছে বিজেপি। অপরদিকে শোকজের মুখে পড়া বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেছেন, তিনি দলের শৃঙ্খলাপরায়ণ সৈনিক। তিনি জানতেনই না যে বিজেপির সাংসদ সেখানে আসছেন। জানলে তিনি ওই পথ মাড়াতেন না।