আকাশপথে বিপদের হাতছানি, চেন্নাই থেকে বিমানে রাজ্যে ফিরলেন দু'জন 'করোনা রোগী'

  • করোনা রোগীদের বিমান সফর!
  • চেন্নাই থেকে ফিরলেন মেদিনীপুরের দু'জন
  • ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী
  • পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি

Asianet News Bangla | Published : Jun 16, 2020 10:01 AM IST

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর: বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে বিপদ বাড়বে না তো? স্পেশাল ট্রেনে নয়, এবার আকাশপথে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে রাজ্যে ফিরলেন দু'জন করোনা রোগীও! ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: কবে থেকে এই রাজ্যে শুরু হবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা, কী বলল রেল বোর্ড

ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুর। সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, সোমবার সকালে জেলার করোনা হাসপাতালে এসে হাজির হন দু'জন যুবক। বলেন, তাঁরা করোনা আক্রান্ত। হাসপাতালে ভর্তি নেওয়ার সময়ে জানা যায়, ১২ জুন চেন্নাইয়ের একটি ল্যাবে দু'জনেরই লালারস বা সোয়াব পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরের দিন অর্থাৎ তেরো তারিখ করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাঁদের। 

ওই দুই যুবক জানান, চেন্নাইয়ের চিঙ্গুলপেটে একটি কারখানায় কাজ করতেন পূর্ব মেদিনীপুরের ৯ জন। কারখানায় একজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার এ রাজ্যের ৯ জন বাসিন্দাও সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যান। কিন্তু তাঁদের উপসর্গ ছিল না, তাই পরীক্ষা করে রাজি হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর যে দু'জন মেদিনীপুরে চলে এসেছেন, তাঁরা নিজেরাই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান বেসরকারি ল্যাবে এবং করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। বাকি সাতজন এখন চেন্নাইয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। কিন্তু কোম্পানি কোয়ার্টার ছাড়তে বলায় করোনা আক্রান্ত দু'জন পূর্ব মেদিনীপুর মাতঙ্গিনী ব্লকে বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। এবার বেঁকে বসেন পরিবারের লোকেরাই। আর কোনও উপায় ছিল না, শেষপর্যন্ত রবিবার রাতের বিমানে প্রথমে কলকাতা, তারপর গাড়ি ভাড়া করে পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা কোভিড হাসপাতালে পৌঁছান তাঁরা।

আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদীর বৈঠক, বক্তা তালিকায় নাম নেই মমতার
 
পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন, বিমানবন্দরে যদি যাত্রীদের যদি সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে, তাহলে করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও দু'জন কী করে বিমানে উঠলেন? প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে পাঠাতে পারত। এখন আসার পথে যাঁরা ওই দুই যুবকের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরা সংক্রমিত হলে দায় কে নেবে! ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছেন নন্দীগ্রামে বিধায়ক।   

Share this article
click me!