'শিল্পপতিদের ঋণ মকুব হলে, মহিলাদের কেন নয়', ঋণমুক্তির দাবিতে জেলাশাসকের দফতরে

  • শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করছে কেন্দ্রীয় সরকার
  • ছোট সংস্থায় লোন নেওয়া মহিলাদের কেন ঋণ মকুব নয়
  • ঋণমুক্তির দাবিতে জেলাশাসকের দ্বারস্থ
  • পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরে মহিলারা

Asianet News Bangla | Published : Sep 28, 2020 12:52 PM IST / Updated: Sep 28 2020, 10:06 PM IST

শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-ঋণমুক্তির দাবিতে সরব হলেন মহিলারা। তাঁদের দাবি, করোনাভাইরাসের আবহে থমকে গিয়েছে আর্থিক গতি। স্বনীর্ভর গোষ্ঠী থেকে ঋণ নিয়ে পরিবারের আর্থিক উপার্জনে অটো, টোট কিনেছিলেন তাঁদেল স্বামী। কিন্তু লকডাউন এবং ট্রেন না চলায় সেইসব এখন অচল। আর্থিক সংস্থান বলতে কিছু নেই। এই অবস্থায় তাঁরা লোন দেবেন কীভাবে। ঋণমুক্তির দাবি জানিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন মহিলারা।

 

আরও পড়ুন-শুভেন্দুর হোর্ডিংয়ে 'পতাকা বাঁধা কমিটি', লালগড়ে তৃণমূলের অনুগামী সমস্যা প্রকট

সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলাশাসকদের দফতের সামনে ঋণ মকুবের দাবি জানিয়ে সরব হন মহিলারা। ঋণমুক্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভও দেখান। স্বনীর্ভর হওয়ার লক্ষ্যে ছোট সংস্থা থেকে লোন নিয়েছিলেন। লোনের কিস্তি মেটানোর জন্য তিনমাস বন্ধ ছিলয কিন্তপ তারপর থেকেই কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে ওই সংস্থা। কিন্তু পরিবারে অর্থের অভাব থাকায় এই মুহূর্তে ঋণের কিস্তি মেটাতে অক্ষম বলে তাঁদের দাবি। 

আরও পড়ুন-মাঝরাতে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, চম্পাহাটিতে আতঙ্ক

ঋণমুক্তির দাবিতে সরব হয়ে লোন গ্রহীতা সমিতি নামে মহিলাদের একটি সংগঠন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখান। সংগঠনের সদস্য মহিলাদের দাবি, স্বনীর্ভর হওয়ার লক্ষ্যে লোন নেওয়া হয়েছিল। লোন নিয়ে অটো, টোটো কেনা সহ মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু টানা লকডাউন ও ট্রেন চলাতল বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করলেও সাধারণ গরিব মানুষদের লোন মকুব করছে না কেন? জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে ঋণমুক্তির দাবি জানান লোন গ্রহিতা সংগঠনের মহিলারা।             
 

Share this article
click me!