পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল ২৭টি। তারমধ্য়ে ইমরান খানের পাকিস্তান করে দেখাতে পেরেছে মাত্র ৫টি। পাঁচদিন ধরে সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানের বিষয়ে নজরদারি চালানোর আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এর পাঁচ দিনের পর্যালোচনার পাকিস্তান সম্পর্কে এই রিপোর্টই এল। কিন্তু তারপরেও কালো তালিকা নয়, ধুসর তালিকাতেই রেখে দেওয়া হল পাকিস্তানকে। বাকি থাকা কাজ শেষ করার জন্য সময় দেওয়া হল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি অবধি।
গত বছর জুন মাসে প্যারিসে এফএটিএফ-এর পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে ধুসর তালিকাবুক্ত করা হয়েছিল। ভারতে বার বার সন্ত্রাসবাদি আক্রমণ চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদ। এই দুই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে তহবিল জোগান নিয়ন্ত্রণ ও বেআইনি অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণ-সহ মোট ২৭টি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানকে। তারমধ্যে মাত্র ৫টি পদক্ষেপ নিতে পেরেছে পাকিস্তান।
এফএটিএফ এই বিষযে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, একজন দুইজন জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার বা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া মানেই কোনও বড় পদক্ষেপ নেওয়া তা নয়। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পাকিস্তানকে এফএটিএফ-এর দেওয়া সম্পূর্ণ অ্যাকশন পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে হবে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান বন্ধ করতে উল্লেখযোগ্য এবং টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহলে এইবার আর ছাড় পাওয়া যাবে না, কালো তালিকাভুক্ত হতেই হবে পাকিস্তানকে।