কলঙ্কিত হল পাক সংসদ। সংসদে দাঁড়িয়েই ওসামা বিন লাদেনকে 'শহিদ' বললেন ইমরান খান। যে ওসামার চালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যু হয়েছিল ৩০০০-এর বেশি মানুষের। তবে লাদেনের প্রতি নরম মনোভাব ইমরান এই প্রথম দেখালেন না।
পাক জাতীয় পরিষদ অর্থাৎ পাকিস্তানি সংসদে দাঁড়িয়েই বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা আল কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রাক্তন ওসামা বিন লাদেনকে 'শহিদ' বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিন তিনি পাক সংসদে বক্তব্য রাখতে দিয়ে বলেন, 'অ্যবটাবাদে আমেরিকানরা এসে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছিল...তিনি শহিদ হয়েছিলেন...এই ঘটনায় আমরা খুবই বিব্রত হয়েছিলাম'।
২০১১ সালে ইউএস নেভি সিলস-এর সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদ শহরে নিহত হয়েছিল ওসামা বিন লাদেন। শুধু আমেরিকাতেই নয়, বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে মূল মস্তিষ্ক ছিল তারই, এমনটাই অভিযোগ করেছিল বেশ কয়েকটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। তবে লাদেন সংবাদ শিরোনামে এসেছিল ২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর-এর ঘটনায়। পাঁচটি বিমান হাইজ্যাক করে সহ বিভিন্ন মার্কিন শহরে বেশ কয়েকটি ভবন-কে নিশানা করা হয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৩,০০০-এরও বেশি মানুষ।
সেই ভয়ানক মানবতার শত্রু ওসামা বিন লাদেন-কেই ইমরান খান শহিদ বললেন। তবে লাদানের প্রতি দুর্বল মনোভাব তিনি এই প্রথম দেখালেন তা নয়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে একটি টিভি সাক্ষাৎকারেও ইমরান, ওসামা বিন লাদেনকে সন্ত্রাসবাদী বলতে অস্বীকার করেছিলেন। প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন-এর সঙ্গে লাদানের তুলনা টেনে বলেছিলেন যে তিনি ব্রিটিশদের জন্য তিনি ছিলেন সন্ত্রাসবাদী আর তাঁর লোকদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা। লাদেনও তেমনই একজন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্কিন সফরের সময় ইমরান খান বলেছিলেন, পাকিস্তানই আমেরিকান নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে অ্যাবটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের উপস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছিল। তবে পাকিস্তানকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে মার্কিন বাহিনীর 'গোপন' অভিযান চালানো উচিত হয়নি। বুধবারই মার্কিন বিদেশ দপ্তর পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে আখ্যা দিয়েছে।