পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার শাহ মাহমুদ কুরেশি, একাধিক দল বদল করেছেন তিনি

কুরেশি ২০০৮-১১ আর ২০১৮-২০২২  এই দুটি মেয়াদের দেশে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুলতানের বাসিন্দা। ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য তিনি। ২২ জুন ১৯৫৬ সালে তাঁর জন্ম।

Saborni Mitra | Published : Apr 11, 2022 11:41 AM IST

পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মিনিটে মিনিটে পরিবর্তিত হচ্ছে পাকিস্তানের রাজনীতি। বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে সামনে এসেছে দুটি নাম। একজন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মাহমুদ কুরেশি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোদী  দলের নেতা শেহবাজ শরিফ। যিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। কুরেশি ও শরিফ দুই নেতাই জাতীয় পরিষদের তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সোমবার দুপুর দুটোর সময় নতুন নেতা নির্বাচন হবে। 

কিন্তু কে এই শাহ মাহমুদ কুরেশি? 
কুরেশি ২০০৮-১১ আর ২০১৮-২০২২  এই দুটি মেয়াদের দেশে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুলতানের বাসিন্দা। ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য তিনি। ২২ জুন ১৯৫৬ সালে তাঁর জন্ম। লাহরের আইচিসন কলের থেকে স্নাতক হন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশুনা করেন। পরবর্তীকালে ক্রিস্টি কলেজ থেকে ইতিবাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেছেন তিনি। 

১৯৮৫ সালে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন কুরেশি। প্রথম তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নিজের জন্মস্থান মুলতান থেকে। প্রথমে পঞ্জাব অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে কুরেশি পাকিস্তানের সুমলিম লিগের যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্টতা বাড়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের। ১৯৮৮ সালে আরও একবার পঞ্জাব অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। সেই সময় নবাব শরিফের মন্ত্রিসভায় স্থান পান তিনি। প্রথমবার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। 

১৯৯৩ সালে দল বদল করেল কুরেশি। পাকিস্তান পিপিলস পার্টির খাতায় নাম লেখান তিনি। বেনজির ভুট্টোর মন্ত্রিসভায় তিনি সংসদীয় বিষয়মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি পিপিপি-র মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত হন। 

২০০৬ সালে ভু্ট্টো কুরেশিকে পঞ্জাবের সভাপতির দায়িত্ব দেন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী কলে লড়াই করেছিল পিপিপি। কিন্তু পরে তাঁকে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার কারণ পাকিস্তান রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। সেইসময় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে। 

এরবর আবারও দলবদল করেন কুরেশি। তিনি ২০১১ সালে পিটিআইতে যোগ দেন। তখন থেকেই তিনি ইমরানের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। দলেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। তবে এখানে জাভেদ হাশমির সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব রয়েছে। জাভেদ হাশমিও মুলতালের বাসিন্দা। 

Share this article
click me!