হিন্দুদের নিয়ে জঘন্য পোস্টার, ইমরানের রোষে পড়ে ক্ষমা চাইতে হল পাক নেতা-কে

সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্বে কোনঠাসা পাকিস্তান।

তারমধ্যেই হিন্দুদের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক ব্যানার দিয়েছিলেন।

তার জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

সোশ্য়াল মিডিয়ায় ক্ষমা চাইতে হল তাঁকে।

amartya lahiri | Published : Feb 8, 2020 1:08 PM IST

এমনিতেই বিশ্বের সামনে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের অভিযোগের জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারমধ্যে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সম্পর্কে আপত্তিজনক স্লোগান দিয়ে ব্যানার টাঙিয়ে ইমরানকে আরও বিপাকে ফেলেছিলেন তাঁর দলেরই এক নেতা। সেই ব্যানার নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী ইমরানের পার্টির অন্দর থেকেও ক্ষোভের মুখে পড়েন ওই নেতা। শেষে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ক্ষমা চাইতে হল তাঁকে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের লাহোরের সাধারণ সম্পাদক মিয়া আক্রম উসমান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে একটি ব্যানার লাগিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল, 'যুক্তি দিয়ে হিন্দুদের কিছু বোঝানো যায় না, তার জন্য বল প্রয়োগ করতে হয়'। ব্যানারগুলিতে উসমানের সঙ্গে সঙ্গে ছবি ছিল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি।

এই নিয়ে তীব্র সমাসলোচনার ঝড় ওঠে শ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই দল থেকেও তাঁর প্রবল সমালোচনা করা হয়। চাপের মুখে উসমান টুইট করে বলেন, 'ভুল করে মোদী-র বদলে হিন্দু ছাপা হয়ে গিয়েছে। সীমান্তের দুইপাড়েরই সমস্ত শান্তিতে বসবাসকারী হিন্দুদের কাছে এর জন্য ক্ষমা চাইছি'।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরীন মাজারি-ও এক টুইট বার্তায় বলেন, উসমানকে দলের পক্ষ থেকে তিরস্কার করা হয়েছে এবং ওই ব্যানারগুলি সঙ্গে সঙ্গেই তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এটা দলেরক মত নয়, এটা এক ব্যক্তির লজ্জাজনক এবং অজ্ঞানতার পরিচয় বলে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

তবে হিন্দুদের অবমাননাকর মন্তব্য পাকিস্তান ও ইমরান খানের দলের তরফে এই প্রথম তা নয়। গত বছরের মার্চ মাসেই হিন্দুদের বিরুদ্ধে চরম খারাপ মন্তব্যের করেছিলেন পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দলের আরেক সদস্য ফয়জুল হাসান চৌহান। সেইসময়ও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ফয়জুল-কে। পরে তাকে পাক পঞ্জাবের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছিল।

 

Share this article
click me!