এতদিন ছিল শুধু কাশ্মীর, শনিবার অযোধ্যার মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও আপত্তি তুলল পাকিস্তান। সরকারি ভাবে সেই দেশ প্রতিক্রিয়া না জানালেও ইমরান সরকারের দুই দুই জন মন্ত্রী তীব্র আপত্তি তুললেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে। তবে এর কড়া জবাব দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন পাক মন্ত্রীদের বক্তব্যের উদ্দেশ্য ঘৃণা ছড়ানো।
শনিবার ভারতের শীর্ষ আদালত অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা রামলালা-কে দেওয়ার পর, পাক বিদেশমন্ত্রী সাহ মাহমুদ কুরেশি সরাসরি রায় নিয়ে মন্তব্য না করলে এই রায় ঘোষণার সময়কাল নিয়ে আপত্তি জানান। শনিবার পাকিস্তান শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে দিয়েছে কর্তারপুর করিডোর। কুরেশি জানান, এইরকম একটি আনন্দের দিনে, সৌভাতৃত্বের দিনে অযোধ্যার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের ফয়সালা না জানানোটা খুবই দু-খের। চাইলেই এক-দুটো দিন রায় ঘোষণা পিচিয়ে দেওয়া যেত। তিনি আরও বলেন, এর ফলে ভারতীয় মুসলিমরা আরও চাপে থাকবেন।
এর প্রতিক্রিয়ার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ শর্মা বলেন, অযোধ্যা মামলাটি একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করাটা পাকিস্তানের কাছে বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। আর এই মন্তব্য করার উদ্দেশ্য ভারতে ঘৃণা ছড়ানো।
পাক বিদেশমন্ত্রীর পাশাপাশি সেই দেশের বিদেশ মন্ত্রকও এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বলে দাবি করেছে সেই দেশের এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি পাক বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই রায় আবারও ন্যায়বিচারের দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর পাশাপাশি অযোধ্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন সেই দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী চৌধুরি সরাসরি এই রায়কে 'লজ্জাজনক, জঘন্য, অবৈধ এবং অনৈতিক' বলেছেন। তিনি আরও বলেন, 'ভারতের পক্ষে রায় দেওয়ার অর্থ সংখ্যালঘুদের বা দিয়ে অন্যদের জন্য ঘৃণার ভিত্তিতে একটি পিছিয়ে পড়া সমাজ গঠন। এটি ভারতের জন্য দুঃখের দিন এবং ভারতীয় বিচার বিভাগের জন্য একটি কালো দিন।'