সামনেই গুরুপূর্ণিমা, শিখ ধর্মগুরু নানকের ৫৫০তম জন্মদিবস। এই পুন্য তিথিকে কেন্দ্র করে অসংখ্য শিখ তীর্থযাত্রী পাকিস্তানের কর্তারপুর গুরুদ্বার দরবার সাহিবে যাচ্ছেন তীর্থ করতে। তাদের জন্য কর্তারপুর করিডোর খুলে দিচ্ছে ইমরান খান প্রশাসন। কিন্তু সেই দরজা খোলার মাত্র কয়েকদিন আগে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর মিলল, খোদ কর্তারপুরেই জঙ্গি শিবির রয়েছে। চলছে সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ। কাজেই শিখ তীর্থযাত্রা কতটা নিরাপদ হবে, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, পাক পঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে, শকরগড় এবং সীমান্তবর্তী নারওয়াল জেলায় জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘাঁটিতেই বেশ কিছু সংখ্যক জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে মহিলা জঙ্গিও রয়েছে বেশ কিছু।
আগামী ৯ নভেম্বর কর্তারপুর করিডোর-এর উন্মোচন হওয়ার কথা। এই পারে এই তীর্থ যাত্রার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই দিনে পাকিস্তানও তাদের দিকের গরজা খুলে দেবে শিখ ও অন্যান্য ধর্মের তীর্থযাত্রীদের জন্য পাকিস্তান জানিয়েছে এই ক'দিন কর্তারপুরের গুরুদ্বার সাহিবে আসার জন্য ভারতীয় ভিসা বা পাসপোর্ট কিছুই লাগবে না। ভারতের পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক সাহিব-এর সঙ্গে সরাসরি পাক পঞ্জাবের নারওয়ালের কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারের সংযোগ ঘটায় কর্তারপুর করিডোর।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তান ২৪টি চুক্তি সাক্ষর করেছে। ভারত ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ মোট ৫৭৫ জন তীর্থযাত্রীর নামের তালিকা দিয়েছে পাকিস্তানকে। রবিবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারের সংস্কারের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে শিখ তীর্থযাত্রীদৈর আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
কিন্তু এরমধ্যেই জঙ্গি উপস্থিতির যে তথ্য ভারতের হাতে এসেছে, তাতে পুরো যাত্রার উপরই নিরাপত্তাজনিত প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের আতিথেয়তার পিছনের নির্মম সত্যটা ফাঁস হয়ে গিয়েছে।