পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ পাকিস্তানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মুশারফ অসুস্থ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ পাকিস্তানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মুশারফ অসুস্থ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। কিন্তু এই খবরের স্বপক্ষে এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও সমর্থন পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর বেশ কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পাকিস্তানের সেনা শাসক পারভেজ মুশারফ। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর তাঁর অবস্থার ক্রমশই অবনতি হয়। জানা গিয়েছে তিনি দুবাইয়ের একটি মার্কিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন তিনি। ইতিমধ্যেই তার পরিবার দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
পারভেজ মুশারফের জন্ম হয়েছিল অবিভক্ত ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। ১৯৪৩ সালের ১১ই অগাস্ট। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে তৎকালীন প্রধান নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। পাকিস্তানের সেনা প্রধান থেকে দেশের সর্বোচ্চ কর্তা হন তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু করে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ছিলেন পারভেজ মুশারফ।
প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। পারভেজ মুশারফের জন্ম হয়েছিল অবিভক্ত ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। ১৯৪৩ সালের ১১ই অগাস্ট। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে তৎকালীন প্রধান নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। পাকিস্তানের সেনা প্রধান থেকে দেশের সর্বোচ্চ কর্তা হন তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ছিলেন পারভেজ মুশারফ।
১৯৯৮ সালে নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ই মুশারফ সেনা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৯৯ সালে ভারত হামলার মূল পরিকল্পনা ছিল তাঁর। পরে এই হামলাই কার্গিল যুদ্ধের রূপ নিয়েছিল। কিন্তু এই যুদ্ধে প্রথম দিকে পাকিস্তান সুবিধেজনক অবস্থায় থাকলেও ভারতীয় সেনা বাহিনীর অদম্য মনোভায় আর যুদ্ধ কৌশলের কাছে হার মানতে হয়। তারপরই একাধিক বিষয় নিয়ে নওয়াজ শরীফের সঙ্গে মুশারফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এই সময় শরীফ মুশারফকে সেনা প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরকল্পনা করছিলেন। কিন্তু তার আগেই রাতারাতি সেনা অভ্য়ুত্থান করে পাকিস্তানের প্রধানের পদ দখল করেন মুশারফ। নওয়াজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন। প্রথমে গৃহবন্দী ও পরে রাওয়লপিন্ডির জেলে বন্দি করে রাখেন।