নিষিদ্ধ করেও ১০ দিনেই ফেরাতে হল টিকটক, দ্বিমুখী চাপে ক্রমে স্যান্ডউইচ হয়ে যাচ্ছেন ইমরান


১০ দিন পরই টিকটক ফিরল পাকিস্তানে

শ্যাম রাখবেন না কূল রাখবেন বুঝে পাচ্ছেন না ইমরান খান

ক্রমে দ্বিমুখী চাপে স্যান্ডউইচ হয়ে যাচ্ছেন তিনি

কারা কারা চাপ দিচ্ছে তাঁর উপর

amartya lahiri | Published : Oct 19, 2020 12:40 PM IST

ইমরান খানের এখন শ্য়াম রাখি না কুল রাখি অবস্থায অশ্লীলতার দায়ে জনপ্রিয় শর্ট-ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পাকিস্তানে। দশ দিন যেতে না যেতেই সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্য়াহার করে ফিরিয়ে আনা হল টিকটক-কে।

টিকটক নিষেধ করার সময়ে স্বাভাবিকভাবেই ইমরান সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিল পাকিস্তানের যুব সমাজ। কিন্তু, তারপরও সেই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন ইমরান। শোনা গিয়েছিল, তাঁর সরকারের উপর চাপ রয়েছে রক্ষণশীল শক্তির। সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছিল। তা প্রত্যাহার করার পিছনে আবার রয়েছে চিনের চাপ, এমনটাই জানা গিয়েছে।

দিন কয়েক আগেই ইমরান খান বলেছিলেন চিনের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্ব সমুদ্রের চেয়েও গভীর এবং হিমালয়ের চেয়েও উচ্চ। কিন্তু, বাস্তবটা হল উচ্চাভিলাষী বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে প্রায় ্র্থনৈতিক নাগপাশে বেঁধে ফেলেছে বেজিং। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিসিই এখন পাকিস্তানের অর্থনীতির মূল দীশা। আর সেই প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে পাকিস্তানকে এখন প্রায় হাতের মুঠোয় এনে ফেলেছে চিন। এরমধ্যে টিকটকের মতো একটি চিনা অ্যাপ্লিকেশন ব্লক করলে তা চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

এমনিতেই বর্তমানে বিভিন্ন দেশেই তোপের মুখে রয়েছে এই অ্যাপ। তথ্য সুরক্ষার উদ্বেগে ভারত ইতিমধ্যেই টিকটক-সহ বহু চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। শুধুমাত্র ভারতের বাজার হারিয়েই টিকটক সংস্থার কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। কম। অন্যদিকে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনও মার্কিন কোম্পানির কাছে বিক্রি না করলে টিকটক নিষিদ্ধ করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। বিষয়টি এখন সেখানকার আদালতে রয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত মার্কিন সংস্থার কাছে সত্ত্ব বিক্রি করে দিতে হয়, তাহলে এই সংস্থা আরও ক্ষতির মুখে পড়বে।

এই অবস্তায় পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের পক্ষে পরিস্থিতি আরই খারাপ হয়েছিল। তার উপর এই অ্যাপ সংস্থাগুলি চিনের বিশাল অর্থনীতির একটা বড় অংশ জোগায়। বেজিং-এর কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বের সঙ্গেও এই সংস্থাগুলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ ফিরিয়ে নিতে যে তারা চাপ দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, এবার দেশের রক্ষণশীল শক্তি এতে কী প্রতিক্রিয়া দেয় সেটাই দেখার। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে যে দুই পক্ষকেই দরকার ইমরান খানের।  

 

Share this article
click me!