শোয়া বসা আর হাঁটা এই তিনটি কাজের সময় যদি স্ত্রী বাম দিকে থাকে পুরুষের অবথা স্বামীর তাহলে দাম্পত্য অনেক সুখের হয়। ডানদিক শুভবলে মনে করা হয়।
মেয়েদের আরেক নাম বামা। হিন্দুমতে মেয়েদের সর্বদাই পুরুষদের বাম দিকে থাকতে হয়। তাই এই নামকরণ হয়েছে। যাইহোক, শোয়া বসা আর হাঁটা এই তিনটি কাজের সময় যদি স্ত্রী বাম দিকে থাকে পুরুষের অবথা স্বামীর তাহলে দাম্পত্য অনেক সুখের হয়। ডানদিক শুভবলে মনে করা হয়। তাই স্ত্রীর ডানদিকে যদি স্বামী থাকে এই অবস্থায় কোনও কাজ করলে সেই কাজ শুভবলে মনে করা হয়। তবে এসম্পর্কে কোনও নিয়ম বা নীতি নেই। কিন্তু দেবদেবীদের অবস্থাও দেখিয়ে দেয় নারীর স্থান বাম দিকে।
আপনি যদি কোনও রাধা-কৃষ্ণ বা শিব-পার্বতীর ছবি দেখেন তাহলে এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারনা করতে পারবেন । হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বলে হয়েছে স্ত্রী যদি স্বামীর বাম দিকে থাকে তাহলে সে নিরাপদে থাকবে। পুরুষ বা স্বামী তাঁর স্ত্রীকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করতে পারবে। একই সঙ্গে অন্যের কুদৃষ্টি থেকেও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারবে। বিয়ের সময়ও বরের বাম দিকেই বসানো হয় স্ত্রীকে। বলা হয় এইভাবে কোনও কাজ করতে তা শুভ বলে গণ্য করা হয়। মেয়েরা বাম দিকে থাকলে তুষ্ট হয় ইষ্ট দেবতা । তাই এই নিময় চালু করা হয়েছে।
কথায় রয়েছে ডানদিক শুভ। তাই সেই দিক পুরুষের জন্য ধার্ষ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এই নীতির প্রচলন করেছিল। অনেক আগে মহিলাদের তেমন অধিকার ছিল না। নিজের মতামতও তারা প্রকাশ করতে পারত না। আর সেই কারণেই তাকে যেখানে থাকতে বলা হয় সে সেখানেই থাকত।
যদিও বর্তমানে নিয়মনীতি অনেকটই বদলে গেছে। এখন অবশ্য মহিলারা অনেকটাই স্বাধীন। তাই এখন এটা একটা প্রথাই রয়ে গেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত অনেকেই মেনে চলেন এই প্রথা। যাই স্বামী স্ত্রীর সুবিধে অসুবিধের দিকে খেয়াল রাখতেই পারে। স্ত্রীর যদি বাম দিকে থাকতে সমস্যা হত তাহলে দিক পরিবর্তন করলেও নিজেদের মধ্যে