বিদুর তাঁর জীবনের উপলব্ধির কথাও বলেগেছেন তাঁর নীতিশাস্ত্রের মাধ্যমে। তিনি এও বর্ণনা করেছেন কী কী গুণ থাকলে পুরুষ ও নারীর জীবন সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়।
মহাভারতের অন্যতম চরিত্র বিদুর। তিনি একাধারে কূটনীতিক। অন্যদিকে তিনি একজন মহাজ্ঞানী। বিদুরের নীতিশাস্ত্র এখনও বহু মানুষের জীবনের পাথেয়। বিদুর তাঁর জীবনের উপলব্ধির কথাও বলেগেছেন তাঁর নীতিশাস্ত্রের মাধ্যমে। তিনি এও বর্ণনা করেছেন কী কী গুণ থাকলে পুরুষ ও নারীর জীবন সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপনের টিপসও তিনি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন কোনও নারীর যদি এই চারটি গুনসম্পন্ন ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাহলে অবশ্যই সেই নারীর স্বর্গবাস করতে পারে। সেই গুণগুলি হল-
১ ধর্মীয় ব্যক্তি-
মহাত্মা বিদুরের মতে প্রধান গুণই হল ধার্মিকতা। আর্থাৎ একজন ব্যক্তি যদি ধর্মীয় পথে চলে তাহলে জীবন সার্থক হয়। ধার্মিক মানুষকে জীবনে দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হতে হলেও যে ধর্মের পথ ছেড়ে চলে যায় না। একজন মানুষের জীবনে যতই খারাপ সময় আসুক না সে কখনই খারাপ পথে হাঁটবে না। ধৈর্যের সঙ্গে ধর্ম পালন করবে।
২. দানি পুরুষ-
দ্বিতীয় গুণ হল দান ধ্যান। বিদুরের কথায় যে পুরুষ দানশীল ও যে ব্যক্তি অন্যের প্রতি উদার মনোভাব পোষন করে সে সর্বদাই নারীদের সম্মান করে। এধরনের পুরুষরা সমসময় সমাজের সকল মানুষের কাছে সম্মানীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। বিদুরের কথায় সম্মান মানুষের জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
৩. পরিশ্রমী ব্যক্তি- দূর্দান্ত স্বামী হওয়ার তৃতীয় শর্তই হল পরিশ্রম। যে ব্যক্তি নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে সে সর্বদাই জীবনে এগিয়ে যায়। এজাতীয় পুরুষরা স্ত্রীকে কখনয়ই কষ্টে পড়তে দেন না।
সত্যবাদী-
চতুর্থ গুণ হল সত্যি কথা বলার ক্ষমতা। বিদুরের কথায় এটি একটি বিরল গুণ। বিদুর নীতি অনুযায়ী এটি এমন গুণ যে ব্যক্তি সর্বদা সত্যি কথা বলেন ও সত্যকে সমর্থন করেন তিনি সর্বদা আলোচিত হয়। জীবনে দুঃখ থাকলেও অসম্মানিত হতে হয় না। এঁরা জীবনে সর্বদা সুখী থাকেন। এমন স্বামী পেলে মহিলাও নিজেদের নিরাপদ মনে করেন। তাঁরা ভাবেন তাঁদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।