সম্পর্ক অত্যান্ত সূক্ষ একটি বিষয়। সেখানে ফাঁক বার করা সহজ। কিন্তু সম্পর্কে ভেঙে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই প্রতিটি সম্পর্ক সম্পর্কে আমাদের যত্নবান হওয়ার প্রয়োজন।
প্রেম একটি অনুভূতি। মন ভালো করা বিষয়। এটি অত্যান্ত স্বাস্থ্যকরও। আপনি যখন কারও প্রেমে পড়েন- তখন তার সঙ্গে প্রতিটি সেকেন্ড সময় কাটাতে আগ্রহী হয়ে পড়েন। এক মুহূর্ত চোখের সামনে থেকে যেতে দিতে চান না। তার সঙ্গে দেখা করা থেকে কথা বলা- সবই আপনার চাই। ভালোবাসার সম্পর্ক হল একটি অত্যান্ত অনুপ্রাণিত বিষয়। যা যত্নশীল। আর আপনাকে সর্বদা খুশি রাখে। কিন্তু আপনি বোঝেন প্রেম আর মোহ বা আবেশের মধ্যে পার্থক্য। একটা কথা আছে সবটাই প্রেম নয়। অনেকটাই মোহ। মোহ ভেঙে যেতে বা কাটতে সময় লাগে না। তাই কথা হল কী করে বুঝবেন আপনি প্রেমে পড়েছেন না মোহ বা আবেশে ভরে রয়েছেন?
সম্পর্ক অত্যান্ত সূক্ষ একটি বিষয়। সেখানে ফাঁক বার করা সহজ। কিন্তু সম্পর্কে ভেঙে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই প্রতিটি সম্পর্ক সম্পর্কে আমাদের যত্নবান হওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু এটাও খেয়াল রাখা অত্যান্ত জরুরি যে আমরা যেন কোনও সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে নিজেরাই না ঠকে যাই। তাই কোনও সম্পর্কের মধ্যে যখন আপনি থাকবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনি যেন সেখানে আটকে না যান। আপনার সম্পর্ক যেন স্বাস্থ্যকর থাকে। তা যেন কোনও মতেই বোঝা হয়ে না যায়।
আপনি যনি প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন তাহলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এই বিষয়গুলিঃ
নিয়ন্ত্রণ
আপনার সঙ্গী আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে কিনা তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। কারণ স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের প্রথম শর্তই নয় নিয়ন্ত্রণ না করা। তার সবকিছু ইচ্ছে অনিচ্ছে আপনার ঘাড়ে চাপিয়ে না দেওয়া। কারণ এজাতীয় সম্পর্ক হলে কিছুদিনের মধ্যেই সেই সম্পর্ক জল দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে। আর সেক্ষত্রে আপনার সঙ্গী ইমোশনালি আপনাকে বারবার ব্ল্যাকমেইল করতে পারে।
সন্দেহ
আপনিও যদি আপনার সঙ্গীকে সর্বদা অনুসরণ করেন তাও ঠিক নয়। আপনি যদি তার ফোন ঘাঁটেন, সোশ্যাল মিডিয়া চেক করেন তাহলে আপনি বুঝবেন আপনি তাঁকে সন্দেহ করছেন। বা যদি উল্টোটা হল তাহলে অপনি বুঝবেন আপনার সঙ্গী আপনাকে বিশ্বাস করে না। অথচ বিশ্বাসই হল সম্পর্কের গোড়ার কথা। প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে সম্মান জানান উচিৎ। সেক্ষেত্রে একটি মজবুত সম্পর্কে তৈরি হতে পারে।
সবকিছু জানতে চায়
আপনার সঙ্গী যদি আপনার রোজকার রুটিন বা সবকিছু জানতে চায় বা আপনার ফোনের পাসওর্ডও জানতে চায় তাহলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। কারণ হয় সে আপনাকে সন্দেহ করে না হয় সে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। দুটি স্বস্থ্য়কর সম্পর্ক নয়।
আপনার ওপর নির্ভরশীল
আপনার সঙ্গে প্রয়োজন অপ্রয়োজনে নির্ভর করে। বা নির্ভর করার ভান করে। - দুটিই খুব খারাপ। এটি হলে বুঝতেন তিনি আপনাকে একটি বস্তু হিসেবে ব্যবহার করছেন। আপনাকে কোনও মর্যাদা দিচ্ছেন না।
ভালোবাসার যদি খাঁটি হয় তাহলে এগুলি থাকবে না। নির্ভরশীলতা বা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কিন্তু সবার ওপরে স্থান পাবে পারস্পরিক বোঝাপড়া। একই সঙ্গে প্রেমিক বা প্রেমিকা দুজনেই একে অপরের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বা আত্মসম্মানকে গুরুত্বদেবেন। ব্যক্তিগত পছন্দ বা অপছন্দকেও গুরুত্ব দেবেন।