স্বামী হোক বা প্রেমিক বা প্রেমিকা তার মুখে যদি একটি নতুন নাম বারবার শোনেন তাহলে প্রথম থেকেই সাবধান হয়ে যান।
বিয়ে অতি সুক্ষ্ম ব্যাপার। আর প্রেম- সেটাই নির্ভর করে বিশ্বাস আর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ওপর। কিন্তু বিয়ে আর প্রেম- দুটি ক্ষেত্রেই একটি আশঙ্কা থেকেই যায়, সঙ্গী অন্য কারও ওপর আশক্ত নয়তো! কখনও মনে হয় হ্যাঁ আবারও কখনও মনে হয় না। কিন্তু এই দুয়ের টানা পোড়েনে কষ্টপান আপনি নিজেই। আর সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই আপনি চলে যান ডিপ্রেশনে। যাইহোক এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে সহজে বাঁচার জন্য আপনাকে একটা সহজ উপায় বলে দিতে পারে। আপনার সঙ্গী পরকীয়ায় আশঙ্ক কিনা তা জানার জন্য এই সাতটি বিষয়ের ওপর নজর রাখুন। এক সপ্তাহ থেকে দুসপ্তাহের মধ্যেই ফল পাবেন।
১. নতুন কোনও নাম
আপনার সঙ্গী - স্বামী হোক বা প্রেমিক বা প্রেমিকা তার মুখে যদি একটি নতুন নাম বারবার শোনেন তাহলে প্রথম থেকেই সাবধান হয়ে যান। বুঝবেন ডাল মে কুছ কালা হয়। সঙ্গীকে না জানিয়ে সেই নতুন নামের ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে তার কতটা ঘনিষ্টতা তা জানার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সঙ্গীকেই বলুন সেই ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিতে। তাহলে আপনি কিন্তু দুজনের ওপর নজর দিতে পারবেন। মন দেওয়া নেওয়া আটকাতে না পারলেও নিজেকে সতর্ক করতে পারবেন। আর যে আপনার সঙ্গে হঠকারিতা করছে তার থেকে দূরে সরে যেতে পারবেন।
২. সোশ্যাল মিডিয়ায় আশক্তি
হঠাৎ করেই যদি দেখেন আপনার সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাচ্ছেন- আর সেই চ্যাট সম্পর্কে আপনি জানতে চাইলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাহলে দ্রুত সাবধান হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার সঙ্গীর আশক্তির অন্যতম কারণ হতে পারে নতুন সম্পর্ক। সেক্ষেত্রে আপনি ব্যক্তিগত পরিসরের স্বাধীনতা দূরে সরিয়ে সঙ্গীর মোবাইল ফোন চেক করুন। বা তিনি যেসব গ্রুপগুলিতে অ্যাকটিভ সেই গ্রুপগুলির সদস্য হতে যেতে পারেন। তাহলে দ্রুতই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার সঙ্গীর গতিবিধি জানতে পারবেন।
৩. আপনাকে এড়িয়ে যাওয়া-
এটা কিন্তু একদম শেষ পর্যায়ে। আপনাকে এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ হল সে আপনার প্রতি সমস্ত ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলেছে। তাই আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এরকমটা হলে সম্পর্ক আপনার হাতের বাইরে চলে গেছে বুঝে নিন। যদি তারসঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করতে চান তাহলে নিজেকে নতুন করে তৈরি করা জরুরি। তবে এই ক্ষেত্রে নিজের মানসম্মাব বিসর্জন দিয়ে না এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
৪. সময় কমিয়ে দেওয়া-
আগে অপনাকে অনেক সময় দিত। কিন্তু এখন আর সময় দেয় না। এরকম হলে বুঝতে পারবেন তিনি অন্যকোনও সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্য কোনও সমস্যাও থাকতে পারে। তাই সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুণ। আপনি নিজে তাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। পুরোটা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সঙ্গীকে নিজের কাছে নিয়ে আসুন। মনে রাখবেন রণে আর প্রেমে সবকিছুই চলে।
৫. যৌনসম্পর্কে উদাসীন-
আপনার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে করতে চাইছে। বিছানায় আপনাকে সময় দিচ্ছে না। এড়িয়ে যাচ্ছে। অন্য কোনও কারণ খাড়া করছে। যা আপনাদের মধ্যে পাহাড়ের মত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিত হয়ে যান আপনার সঙ্গী অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে।
৬. রেগে যাওয়া আর আপনার রুটিন জানা-
আপনার সঙ্গী আপনার ওপর বারবার রেগে যাচ্ছেন- কখনও কারণে আবার কখনও অকারণে। কিন্তু তারপরেও আপনি কখন কোথায় যাচ্ছেন বা আসছেন সেসম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। আপনার রুটিন সম্পর্কে অতি উৎসাহী হয়ে পড়া। তাহলে বুঝতে হবে আপনার সঙ্গে অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। কারণ আপনার জন্য নয়। আুনি কোন পথে যাওয়া আসা করবেন সেই পথ এড়িয়ে তিনি তাঁর নতুন সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন- এরকম পরিকল্পনা থাকতে পারে তার। তাই আপনার মনে যদি সন্দেহ দানা বাঁধে তাহলে আপনার রুটিন তাকে না বলাই ভালো। বলেলও সবটা বলবেন না। তাহলে হাতেনাতে ধরতেও পারেন আপনার সঙ্গীর পরকিয়া।
৭. সৌন্দর্যের প্রতি নজর-
হঠাৎ করে নিজের সৌন্দর্য নিয়ে বেশি যত্নবান হয়ে পড়েছেন আপনার সঙ্গী। আগে যে রং পছন্দ করতেন এখন আর তা করেন না। এক্ষেত্রে অপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার সঙ্গীর জীবনে নতুন কেউ এসেছে। তবে এক্ষেত্রে একটু নজর রাখুন আপনার সঙ্গী আবার আপনার মনের মত হতে চাইছেন নাতো।