হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলাদের পায়ের রুপোর গয়না পরা কিন্তু বাধ্যতা মূলক। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী এতে বিবাহিত জীবন সুখের হয়।
বিবাহিত হিন্দু মহিলারা অনেকেই পায়ে রুপোর তোড়া, মল বা নুপুর পরেন। অনেকেই আবার পায়ের আঙুলে আঙ্গোট পরেন। হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলাদের পায়ের রুপোর গয়না পরা কিন্তু বাধ্যতা মূলক। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী এতে বিবাহিত জীবন সুখের হয়। পাশাপাশি এগুলি যে কোনও মহিলা বা রমণীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তবে পায়ে কিন্তু কখনই সোনার গয়না পরা হয় না। ধর্মীয় নিময় অনুযায়ী পরতে নেই। যদিও অনেকেই বিলাসিতা করার জন্য পরেন। কিন্তু ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী এজাতীয় গয়না পরতে নেই।
পায়ে সোনার গয়না না পরার কারণ
হিন্দু ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী সোনার গয়না পায়ে পরতে নেই। সোনার সঙ্গে কিন্তু সরাসরি লক্ষ্মী আর নারায়ণের যোগ রয়েছে। আর সেই কারণে সোনার গয়না পায়ে পরলে দেবতাদের কোপে পড়তে পারেন অপমান করার জন্য। হিন্দু ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী কোমরের নিচের অংশ শুদ্ধ হিসেবে মানা হয় না। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পায়ে বা কোমরের নিচে সোনার গয়না পরা হলে মা লক্ষ্মী কুপিত হন।
সোনার গয়না শরীরের তাপ বৃদ্ধি করতে পারে। আবার রুপোর সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কোমরের ওপরের সোনা আর কোমরের নিচে রুপোর গয়না পরলে শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। এতে নানা ধরেনের রোপের প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বিবাহিত মহিলাদের পায়ে নুপুর বা আর আঙ্গোট পরার অন্যতম কারণ হল বিবাহিত জীবন সুখের করা। আর স্বামীকে আকৃষ্ট করা। পাশাপাশি এই দুটি গয়নাই নেগেটিভ এনার্জি থেকে রক্ষা করতে পারে।