চাণক্য তার চাণক্য নীতি গ্রন্থে প্রতিটি বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। চাণক্য প্রেম সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বলেছেন, যা ভালোবাসা দিবসের বিশেষ উপলক্ষ্যে অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসে অবশ্যই জানা ও বোঝা উচিত-
চাণক্যকে ভারতের সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে গণ্য করা হয়। চাণক্য আচার্য চাণক্য ও কৌটিল্য নামেও পরিচিত। চাণক্য সম্পর্কে বলা হয় যে, শাস্ত্র এবং অস্ত্র উভয়ের ব্যবহার সম্পর্কে তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল। তার দৃষ্টি ছিল। চাণক্য তার চাণক্য নীতি গ্রন্থে প্রতিটি বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। চাণক্য প্রেম সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বলেছেন, যা ভালোবাসা দিবসের বিশেষ উপলক্ষ্যে অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসে অবশ্যই জানা ও বোঝা উচিত-
প্রেম হল প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি,
চাণক্য নীতি অনুসারে, কোনও সম্পর্কের মধ্যে ভালবাসার অনুভূতি না হওয়া পর্যন্ত সখ্যতা এবং উত্সর্গের অনুভূতি জন্মাতে পারে না। ভালোবাসার জন্ম হলেই সম্পর্কের শক্তি থাকে। তাই সম্পর্ককে দীর্ঘ সময় ধরে মজবুত ও টিকিয়ে রাখতে হলে কখনোই তার মধ্যে ভালোবাসার অনুভূতি কমতে দেওয়া উচিত নয়।
শ্রদ্ধা ও সম্মান
চাণক্যের মতে, ভালোবাসার পাশাপাশি শ্রদ্ধা ও সম্মানেরও খুব দরকার। প্রতিটি সম্পর্ককে সম্মান করা উচিত এবং যতটা সম্ভব সম্মান দেওয়া উচিত। ভালোবাসা ভিত্তিক সম্পর্কের মধ্যে কখনই সম্মান এবং সম্মানের অভাব থাকা উচিত নয়। অহংকার ও আত্মকে শ্রেষ্ঠ মনে করার ভুলের কারণে শ্রদ্ধা ও সম্মানের অভাব হয়। এই পরিহার করা উচিত প্রেমে অহংবোধ থাকা উচিত নয়। এতে সম্পর্ক দুর্বল হয়।
কখনও বিশ্বাস ভাঙ্গবেন না
চাণক্যের নীতি অনুসারে, সম্পর্কগুলি ভালবাসার পাশাপাশি বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। বিশ্বাস তৈরি করা খুব কঠিন। বিশ্বাস গড়তে সময় লাগে, কিন্তু ভাঙতে এক সেকেন্ডও লাগে না। যে কোনও সম্পর্কের পবিত্রতা রক্ষায় বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্পর্কের মধ্যে মিথ্যা প্রবেশ করলেই বিশ্বাস কমে যায়। পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মিথ্যার কোনও স্থান থাকা উচিত নয়।
আরও পড়ুন- ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে এই রাশিগুলি প্রেমের রসে মজে থাকবে, জেনে নিন মঙ্গলবারের লাভ লাইফ
আরও পড়ুন- ভালোবাসা কি, পার্বতী যখন মহাদেবকে এই প্রশ্নটি করেছিলেন, তখন তিনি এই উত্তর পেয়েছিলেন
আরও পড়ুন- এই ৬ রাশির জন্য ভ্যালেন্টাইন্স ডে বিশেষ হবে, মিলতে পারে সত্যিকারের ভালবাসা
রাগ থেকে দূরে থাকুন
চাণক্য নীতি অনুসারে যেখানে প্রেম আছে সেখানে রাগ এড়িয়ে চলতে হবে। সংযম ও বিনয় দ্বারা ক্রোধ ধ্বংস করা যায়। এমনকি কাছের মানুষরাও রাগান্বিত ব্যক্তির থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। একজন রাগান্বিত ব্যক্তি শুধু নিজেরই ক্ষতি করে না, অন্যদেরও ক্ষতি করে।