এমনিতেই চলছিল টানাপোড়েন। অনুমতি পাওয়া নিয়ে লাগাতার টানাপোড়েনের মাঝেই জল গড়ায় রাজ্যের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।
এমনিতেই চলছিল টানাপোড়েন। অনুমতি পাওয়া নিয়ে লাগাতার টানাপোড়েনের মাঝেই জল গড়ায় রাজ্যের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।
গত শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছিল, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেবেন জেলাশাসক। শেষপর্যন্ত, রানাঘাটে ১১২ ফুট দুর্গার অনুমতি দিলেন না নদিয়ার জেলাশাসক। বৃহস্পতিবার, জেলাশাসক স্পষ্টতই এই কথা জানিয়ে দেন।
সেখানে বলা হয়, বিদ্যুৎ দফতর, দমকল, পুলিশ, বিডিও এবং রানাঘাট এসডিও আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। কারণ, বিদ্যুৎ দফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে তাতে পুজো কমিটি রোজ ৩ কিলোওয়াট করে বিদ্যুৎ খরচের কথা জানিয়েছে।
কিন্তু যে মাত্রার মণ্ডপ, তাতে কপমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এই পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেইজন্যই অনুমতি দিতে পারছে না বিদ্যুৎ দফতর। এদিকে আবার দমকলের যুক্তি, আগের বছরের পুজো ও জমির অনুমতিপত্র জমা করতে হবে। কিন্তু তা জমা না করার কারণেই, পুজো কমিটির আবেদন বাতিল করা হচ্ছে।
সেইসঙ্গে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রানাঘাট পুলিশও। তাদের দাবি, যে বড় মাপের দুর্গা হয়েছে, তা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করতে পারেন। বিঘ্নিত হতে পারে নিরাপত্তা। তাছাড়া পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রায় ১২ ফুট রাস্তার উপর তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। কিন্তু মণ্ডপের আকারের তুলনায় যা খুবই সংকীর্ণ। ফলে, বিপদ হতে পারে। সেখানে কেবল লাইন এবং বিদ্যুতের তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকী বিসর্জনের সময়েও এই বিশালাকার প্রতিমা নিয়ে যেতে সমস্যা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। তাই সবদিক খতিয়ে দেখে তারা এই আবেদনে সাড়া দিতে পারছেন না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।