শনির দেবতা অন্যায়ের সঙ্গে অন্যায় এবং ন্যায়ের সঙ্গে ন্যায়ের কাজ করেন। তাই তাকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। শনিদেব প্রসন্ন হোক, তিনি উন্নতির পথ খুলে দেন। অঢেল ধন-সম্পদের সাথে জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।
সাওন মাসকে ভগবান ভোলেনাথের মাস বলে মনে করা হয়। ভগবান শিব এবং পার্বতীর আশীর্বাদ এই মাসের সমস্ত দিনগুলিতে থাকে। যদি আপনার উপর শনি সারে সতী বা ধাইয়া চলমান থাকে, তবে সাওন মাসের প্রথম শনিবার এই ব্যবস্থাগুলি করলে আপনি তা থেকে মুক্তি পাবেন। পরিবার থেকে দূর হবে সব রকম অর্থনৈতিক সমস্যা। আপনার আটকে থাকা কাজগুলো সম্পন্ন হতে শুরু করবে। একই সাথে, আপনি ঋণ এবং আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ন্যায়ের দেবতা শনি তাঁর ভক্তদের আশীর্বাদ করবেন।
কেউ কেউ শনির নাম শুনলেই ভয় পান। এটা তার ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এর কারণ হল শনির দেবতা অন্যায়ের সঙ্গে অন্যায় এবং ন্যায়ের সঙ্গে ন্যায়ের কাজ করেন। তাই তাকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। শনিদেব প্রসন্ন হোক, তিনি উন্নতির পথ খুলে দেন। অঢেল ধন-সম্পদের সাথে জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। শনিদেবকে সন্তুষ্ট ও মুগ্ধ করার সহজ উপায় জেনে নিন সাওন মাসে। বলা হয় সাওন মাসের প্রথম শনিবার সূর্যাস্তের পর এই কাজগুলো করলে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন মানুষ।
শনিদেবকে খুশি করার সহজ উপায়গুলো জেনে নিন
সাওন মাসের প্রথম শনিবার সূর্যাস্তের পর পিপল গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালান। এই গাছটি শুধুমাত্র মন্দিরে থাকা উচিত। প্রদীপ জ্বালানোর সময় শনিদেবের যত্ন নিন। এই প্রতিকার করলে আপনি অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
১. এই দিন সন্ধ্যায় সরিষা বা তিলের তেল যোগ করে প্রদীপ জ্বালান। এছাড়াও নীল ফুল অর্পণ, এর পর শনি চালিসা পাঠ করুন। এই সময় শনিদেবের মূর্তির দিকে তাকাবেন না। এটা সঠিক নয়।
২. প্রদীপ জ্বালানোর পর পিপল গাছের ৫ বা ৭ বার পরিক্রমা করুন। এছাড়াও গরিব-দুঃখীকে সাহায্য করুন। সম্পদ বৃদ্ধির সাথে সাথে ঘরে দারিদ্র্যের হারও কমবে।
৩. শনিবার সরিষার তেল দান করতে হবে। তেল দান করার আগে এতে আপনার মুখ দেখুন। এর পর দান করুন।
৪. সাওন মাসের প্রথম শনিবার ভগবান শিবের জলাভিষেক করুন। এছাড়াও বেলপত্র নিবেদন করুন এবং শিব চালিসা পাঠ করুন।
৫. সাওন মাসের প্রথম শনিবার হনুমান জিকে সিঁদুর অর্পণ করে তাঁর চালিসা পাঠ করুন। এতে সকল দুঃখ, কষ্ট ও ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।