ভারতের এই জনপ্রিয় শিব মন্দিরে ইঞ্চি ইঞ্চি করে বাড়ছে নন্দীর মূর্তি, এই রহস্য অবাক করছে সকলকে

ভারতের অনেক মন্দিরই রহস্যে ভরপুর। এর মধ্যে একটি হল শ্রী যগন্তী উমা মহেশ্বর মন্দির, যা অন্ধ্র প্রদেশের কুর্নুল জেলায় অবস্থিত। এটি ১৫ শতকে সঙ্গমা রাজবংশের রাজা হরিহর বুক্কা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরটি এখানে উপস্থিত নন্দীর মূর্তির জন্য আলোচিত।

 

ভারতের এই রহস্যময় শিব মন্দির সম্পর্কে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে এখানে নন্দীর মূর্তি ক্রমাগত বাড়ছে। চলুন জেনে নেই এই রহস্যময় শিব মন্দিরের মজার গল্প। ভারতের অনেক মন্দিরই রহস্যে ভরপুর। এর মধ্যে একটি হল শ্রী যগন্তী উমা মহেশ্বর মন্দির, যা অন্ধ্র প্রদেশের কুর্নুল জেলায় অবস্থিত। এটি ১৫ শতকে সঙ্গমা রাজবংশের রাজা হরিহর বুক্কা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরটি এখানে উপস্থিত নন্দীর মূর্তির জন্য আলোচিত।

কথিত আছে, মন্দিরে অবস্থিত নন্দী মহারাজের মূর্তিটি ক্রমাগত রহস্যজনক ভাবে বিশাল হয়ে উঠছে। নন্দী মূর্তির আকার প্রতি ২০ বছরে প্রায় এক ইঞ্চি করে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর কারণে মন্দিরের অনেক স্তম্ভও সরাতে হয়েছে। কথিত আছে যে নন্দী মূর্তির আসল আকার ছিল খুবই ছোট, কিন্তু যখন এর আকার বাড়তে থাকে, তখন পুরাকীর্তি বিভাগ এটি নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নন্দীর মূর্তিটি এমন একটি পাথর থেকে তৈরি করা হয়েছে, যার প্রসারণের প্রবণতা রয়েছে।

Latest Videos

কথিত আছে, প্রাচীনকালে ঋষি অগস্ত্য এই স্থানে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মন্দির তৈরি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু মন্দিরে মূর্তি স্থাপনের সময় মূর্তির পায়ের নখ ভেঙে যায়। ঋষি অগস্ত্য ভগবান শিবের তপস্যা করেছিলেন। এরপর শিবের আশীর্বাদে ঋষি অগস্ত্য উমা মহেশ্বর ও নন্দীকে প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরে পুষ্করিণী নামে একটি পুকুরও রয়েছে। এখানে নন্দীর মুখ থেকে অনবরত জল পড়ছে। এই জল কোথা থেকে আসে তা এখনও রহস্য। কথিত আছে ঋষি অগস্ত্য এই পুকুরে স্নান করেই শিবের পূজা করেছিলেন।

ধর্মীয় গ্রন্থ ও পৌরাণিক কাহিনীতে কলিযুগ সম্পর্কে অনেক কিছু বর্ণিত হয়েছে। কলিযুগের অবসান সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলা হয়েছে। পৃথিবীতে মহা বিপর্যয় আসার বিষয়টিও নন্দী দেবতার অস্তিত্বের উপর নির্ভর করে। কথিত আছে কলিযুগের শেষে নন্দী মহারাজ জীবিত হবেন এবং পৃথিবী ধ্বংস হবে। সম্ভবত এই কারণেই দেশের এই স্থানে ধীরে ধীরে নন্দীদেবের আয়তন বাড়ছে।

এই মন্দিরের আরও একটি চমকপ্রদ বিষয় সামনে এসেছে এবং তা হল মন্দির চত্বরে একটি কাকও দেখা যাবে না। বিশ্বাস অনুসারে, ঋষি অগৎস্য কাকদের অভিশাপ দিয়েছিলেন যেন তারা কখনও মন্দিরে না যান। কাকের শব্দে তার তপস্যায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্যই তিনি এমনটি করেছিলেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

'তৃণমূলের শান্তির ছেলেরা...মমতা-বিনীতকে জেলে ঢোকাবই' RG Kar কাণ্ডে বিস্ফোরক Suvendu Adhikari
Daily Rashifal: বুধবারে কেমন থাকবে অর্থনৈতিক অবস্থা, দেখে নিন ১২ রাশির আজকের আর্থিক রাশিফল
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
Suvendu Adhikari Live : নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান মঞ্চে শুভেন্দু
'কেন্দ্র যদি একটু দয়া দেখায় তাহলে হুগলিতেও মেট্রো চলবে', আশাবাদী Rachana Banerjee