
দুর্গাপুজা ২০২৫: নবরাত্রিতে সবাই দেবীর পূজা করলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপবাস কেবল একটি আচার নয়, বরং একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন। সাধারণ মানুষ ফল এবং মিষ্টি খেয়ে বেঁচে থাকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী তার জীবনকে একটি সুশৃঙ্খল পরীক্ষাগারে পরিণত করেন। তার কাছে, এই উপবাস শরীরের চেয়ে মন এবং আত্মাকে পরিপূর্ণ করার একটি উপায়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, নবরাত্রির নয় দিন তার জীবনের সবচেয়ে পবিত্র দিন। খাবার বর্জন তাকে কেবল ক্ষুধার্তই রাখে না বরং তার ইন্দ্রিয়কেও তীক্ষ্ণ করে তোলে। তিনি বিশ্বাস করেন যে উপবাসের সময় তিনি জলের গন্ধও পেতে পারেন। এটি কোনও সাধারণ উপবাস নয় বরং এক ধরণের তপস্যার, যেখানে ক্ষুধার যন্ত্রণা আত্মশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপবাস অন্যদের থেকে আলাদা। তিনি একটি ফল বেছে নেন এবং পুরো উপবাসের জন্য কেবল সেটিই খান। কখনও পেঁপে, কখনও আপেল, এবং কখনও কখনও কেবল নারকেল জল। এই পদ্ধতি তাকে তার শরীরকে সরল রাখতে এবং মনকে একাগ্র করতে সাহায্য করে। রুচি এবং পছন্দের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকলে, আত্মার উপর নিয়ন্ত্রণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। তিনি একটি পডকাস্টেও এটি উল্লেখ করেছেন।
কখনও কখনও, তিনি নবরাত্রির পুরো দিনটি কেবল হালকা গরম জলে কাটান। দেশের ব্যস্ততম এবং সমস্ত কাজে ব্যস্ত থাকা প্রধানমন্ত্রী মোদী কীভাবে এত কঠোর অনুশীলন বজায় রাখতে পারেন তা শুনে অবাক হতে পারেন। কিন্তু মোদীর জন্য, এটি চরম সংযম, যেখানে শরীরের শক্তি অভ্যন্তরীণ পরিষ্কারের জন্য নিবেদিত হয় এবং মন শূন্যতার দিকে চলে যায়।
উপবাসের বাইরেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত সহজ। মরিঙ্গা পরোটা, নিম পাতা এবং চিনির মিছরি, খিচুড়ি এবং হালকা খাবার তার দৈনন্দিন রুটিনের অংশ। যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং হাঁটার সঙ্গে তার দৈনন্দিন রুটিন প্রমাণ করে যে তিনি স্বাস্থ্য এবং আধ্যাত্মিকতাকে তার জীবনের ভিত্তি বলে মনে করেন।
সম্প্রতি, দিল্লিতে দূষিত বাজরার আটার কারণে শত শত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে উপবাসের সময় সতর্কতা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মোদীর সুশৃঙ্খল এবং নিয়ন্ত্রিত উপবাস আমাদের শেখায় যে নবরাত্রির আসল বার্তা কেবল দেবীর প্রতি ভক্তি নয়, বরং নিজের উপর জয়লাভ।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নবরাত্রির উপবাস রাজনীতির বাইরে একটি বার্তা পাঠায়: সংযমই সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্র। মানুষ উপবাসকে কেবল বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত করলেও, প্রধানমন্ত্রী মোদী এটিকে আত্ম-শৃঙ্খলার তপস্যায় রূপান্তরিত করেন। এই কারণেই তার উপবাস আজও খবরে রয়ে গেছে, কারণ এটি কেবল ক্ষুধা ত্যাগ নয়, বরং মন ও আত্মার গভীর ধ্যান।