দুর্গা পুজো থেকে শুরু করে সমস্ত পুজোতেই ঘট স্থাপন করা হয় ঈশ্বরের নিরাকার অবস্থার প্রতীক হিসেবে। ঋক, সাম ও যজু বেদ অনুসারে ঘট স্থাপনের নিয়ম রয়েছে এবং পুজোর শেষে নিয়ম মেনে বিসর্জন করতে হয়।
দুর্গা পুজো-সহ সমস্ত পুজোতেই পূর্ণঘটের পুজোর মাধ্যমে মা কে আহ্বান করা হয়। ঘট কে ঈশ্বরের নিরাকার অবস্থার প্রতীক হিসেবে গন্য করা হয়।
211
সেই কারনেই ঘট স্থাপন প্রতি পুজোতে আবশ্যক নিয়ম হিসেবেই পালন করা হয়। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যা হল মহালয়া; এই দিন হিন্দুরা তর্পণ করে তাঁদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করে।
311
দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা। এই দিন হিন্দু দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। কোথাও কোথাও পনেরো দিন ধরে দুর্গাপূজা পালিত হয়।
411
সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাসেক্ষেত্রে মহালয়ার আগের নবমী তিথিতে পূজা শুরু হয়।
511
পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর শহরের মৃন্ময়ী মন্দির এবং অনেক পরিবারে এই রীতি প্রচলিত আছে। পুজোর সময় ভগবানের সাকার এবং নিরাকার দুই রূপেরই পুজো করা হয়।
611
তাই ঘট স্থাপন ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ। সাধারণত ঋক, সাম ও যজু বেদ অনুসারে ঘট স্থাপন হয়। সাম বেদ অনুসারে বেশি ঘট স্থাপন হয় তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে শ্রেয়।
711
১) ঘট স্থাপন করতে লাগে কোনও পবিত্র জলাশয়ের মাটি,ধান,মাটি,তামা বা পিতলের ঘট, জল, নবপত্রিকা, গোটা ফল, ফুলের মালা, সিঁদূর ও নতুন গামছা লাগে।
811
২) ঘটের উপর নবপত্রিকার প্রতিটি পাতায় সিঁদূর এর টিপ দিতে হয়।
911
৩) এর পর যে ঠাকুরের পুজো হচ্ছে তার নাম স্মরণ করে গায়ত্রী জপ করতে হয়।
1011
৪) পুজোর সময় ঘট কোনও কারণে হাত থেকে পড়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করে নতুন ঘট বসাতে হবে
1111
৫) পুজো শেষে নিয়ম মেনে ঘট বিসর্জন করতে হবে।র্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়াদশমী নামে পরিচিত।ক্রমে দুআশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় "দেবীপক্ষ"।