তামার আংটি পরার শুধু ধর্মীয় তাৎপর্যই নয়, এটি স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তামার আংটি পরলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
সাধারণত মানুষ সোনা এবং রূপার আংটি পরে, তবে মানুষের মধ্যে তামার আংটি পরার প্রবণতাও রয়েছে। পূজার জন্যও তামা ব্যবহার করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে তামাকে শুভ বলে মনে করা হয়। তামাকে সূর্য এবং মঙ্গল গ্রহের সাথে সম্পর্কিত ধাতু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জল নিবেদনের জন্যও তামার পাত্র ব্যবহার করা হয়।
হিন্দু ধর্মে এমন কিছু ধাতুর কথা বলা হয়েছে, যা পরলে মানুষ অনেক উপকার পায়। সোনা, রৌপ্য এবং তামা ধাতু পরার আগে এর নিয়ম সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রতিটি ধাতু কোন না কোন গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সেই অনুযায়ী ফল দেয়। তামা একটি শুভ ধাতু। এতে প্রচুর পরিমাণে আগুনের উপাদান রয়েছে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এটি সূর্য এবং মঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কিত। পূজায়ও তামার ধাতু ব্যবহার করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, তামার ধাতু ব্যবহার করার আগে এর গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। আপনার সামান্য ভুলের জন্য আপনাকে মূল্য দিতে পারে। তাই তামার আংটি পরার শুধু ধর্মীয় তাৎপর্যই নয়, এটি স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তামার আংটি পরলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
তামার আংটি পরার উপকারিতা
- তামার আংটি পরলে জয়েন্টের ব্যথা ও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের বাতের সমস্যা আছে তাদের তামার চুড়ি পরা উচিত।
- তামার আংটি পরলে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং রক্ত চলাচলও ভালো থাকে। তামার আংটি মানসিক চাপ কমাতেও সহায়ক। তামার পাত্রে রাখা জল পান করাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ধর্মীয় গুরুত্বের জন্য তামার আংটিও পরা উচিত। অনামিকা আঙুলে তামার আংটি পরলে সূর্য ও মঙ্গল সংক্রান্ত ত্রুটি দূর হয়।
- পরিশ্রমের পরও যদি কেউ যথাযথ ফল না পায় তবে তাকে তামার আংটি পরতে হবে। এই প্রতিকারের মাধ্যমে রাশিফল থেকে সূর্যের দোষ দূর হয় এবং সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- তামা ধাতুকে খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এমন অবস্থায় ঘরে তামা ব্যবহার করলে ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকে। বাড়ি থেকে বাস্তু দোষ দূর করতে মূল দরজায় তামার মুদ্রা ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।
জ্যোতিষীরা বিশ্বাস করেন যে অনামিকাতে একটি তামার আংটি পরা উচিত। এটি সূর্য এবং চন্দ্র উভয়কেই শক্তিশালী করে। এছাড়াও, আত্মবিশ্বাস, সাহস এবং স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। বলা হয় কোমরেও তামা পরা যায়। এছাড়াও কথিত আছে যে গলায় তামার মুদ্রা পরলে দুর্ঘটনা রোধ হয়।