শাস্ত্র অনুযায়ী মর্তে থাকা প্রাণী মৃত্যুর পরে হয় স্বর্গ নয় মর্তে যায়। তবে তার চাবিকাঠি রয়েছে মানুষেক কর্মফলে ।
হিন্দুধর্মের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পুরাণ হল গরুঢ় পুরাণ। প্রাচীন বিশ্বাস হল এতে ভগবান বিষ্ণুর উপদেশ লেখা রয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে ব্রাহ্মণ্ডের তিনটি লোক রয়েছে- স্বর্গ, মর্ত ও পাতাল। প্রাচীণ বিশ্বাস স্বর্গে দেবতাদের বাস। নরকে অসুর বা দানবের বাস। আর মর্তে মানুষের বা যাদের মৃত্যু রয়েছে তাদের বাস। শাস্ত্র অনুযায়ী মর্তে থাকা প্রাণী মৃত্যুর পরে হয় স্বর্গ নয় মর্তে যায়। তবে তার চাবিকাঠি রয়েছে মানুষেক কর্মফলে । ভাল কর্মফল- স্বর্গ যাত্রা করায়। আর খারাপ কর্মফল বা পাপ মর্তের দিকে ঠেলে দেয়। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী যে কোনও মানুষ জীবনদ্দশায় এই কাজগুলি করলে কোনও দিনই নরকযন্ত্রণা ভোগ এড়াতে পারবে না।
১. হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী যে কোনও মানষ যদি পরেরধন অপহরণ করে, জমিজমা লুঠ করে তাহলে সংশ্লিষ্টের নরক যন্ত্রণা এড়ানো সম্ভব নয়। শাস্ত্র অনুযায়ী এই নরকযাত্রা প্রচুর কষ্টের।
২. পবিত্র দাম্পত্যের সম্পর্ক যারা অপবিত্র করে তাদের জীবনে নরকযন্ত্রণা অবধারিত। বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কে যে মহিলা বা পুরুষ জড়িয়ে পড়ে তাহলে নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হবেই।
৩. যারা অন্যের জিনিসের ওপর লোভ করে তাদের স্বর্গ যাত্রা হয় না। মৃত্যুর পরে তাদের ঠাঁই হয় নরকে। আত্মা পবিত্র না থাকলেও নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।
৪. স্বার্থসিদ্ধির জন্য যদি কখনও অন্যের ক্ষতি করেন বা কোনও প্রাণী হত্যা করেন তাহলেও নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।
৫. অন্যকে অপমান করা, প্রবীণ মানুষকে অশ্রদ্ধা করা, অন্যকে তাৎছিল্ল করা - এজাতীয় কাজ করলেও নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। তাই জীবনদশার নিজেকে সংযত রাখা অত্যান্ত জরুরি। না হলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন।