দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণী মায়ের প্রিয় শাড়ি কী, কোথায় তৈরি হয় রাজবেশ, জানুন নানা অজানা তথ্য
কালীপুজোর আগে বিখ্যাত কালীক্ষেত্র দক্ষিণেশ্বর নিয়ে কিছু লুকোনো সত্য জানুন। দীপাবলির রাতে মায়ের রাজরাজেশ্বরী রূপ দেখে সব ভক্ত নিজের জীবন ধন্য করেন। কিন্তু কোথা থেকে আসে এই রূপের উৎস। দেবীবরণে কেমন সাজে সাজানো হয়? রইল অজানা কিছু তথ্য।
মা ভবতারিণীর জন্যে শাড়ির পাহাড়! দক্ষিণেশ্বরে চাইলেই মায়ের অঙ্গে শোভা পাবে না আপনার দেওয়া উপহার। সেখানেই তো ভবতারিণী ধৈর্যের পরীক্ষা নেন। তাহলে কীভাবে দেবেন উপহার।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই, বিদেশ থেকেও আসে মায়ের জন্য উপহার। আপনিও তো চান মাকে আপনার দেওয়া উপহারের শাড়িতে সাজাতে। একটিবার যেন মা ভবতারিণী সেই শাড়ি পরেন। কিন্তু সেই ইচ্ছেপূরণ হতে সময় লেগে যেতে পারে কম করে ১০ টা বছর।
প্রতিমাসে কয়েক হাজার শাড়ি আসছে মন্দিরে। মায়ের প্রিয় শাড়ি বেনারসী। তাই ভক্তরা সাধ্যমতো নানা রঙের নানা নকশার বেনারসী ভবতারিণীর পায়ে নিবেদন করেন।
শাড়ির হিসেব অনুযায়ী কমপক্ষে ১০ বছর অপেক্ষা করতেই হবে! ২০২২ সালের শেষের দিকে ২০১০ সালের উপহারের শাড়ি মাকে পরানো হয়েছে। ২০২৩ এ তাই মনে করা হচ্ছে ২০১১-২০১২ সালের শাড়ি পরানো হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ১০ বছর বাদে আপনি খবর পাবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে মন্দির কমিটির সুন্দর নিয়ম রয়েছে। কোন ভক্তের শাড়ি কবে পরবেন মা, তা চিঠি দিয়ে বা ফোন করে, বা মেসেজ পাঠিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন।
বাড়ির মেয়ের মতোই বেনারসী ও নানা গয়নায় কালীপুজোর রাতে সেজে ওঠেন মা ভবতারিণী। শাড়িতেই যে আসল বিশেষত্ব। কখনও লাল সাদা কখনও আবার লাল টুকটুকে বেনারসী মাকে পরানো হয়। কালীপুজোর জন্য বেনারস থেকে বিশেষভাবে নকশা করে শাড়ি আসে।
শাড়ির সঙ্গে থাকে সোনার সাত নলি হার, সীতাহার পরানো হয় মাকে। কানে কানপাশা, নাকে নতুন নথ। এছাড়াও টায়রা, টিকলি, কোমরবন্ধ, পায়ের নতুন নুপুর থাকে। নানা রত্নে সাজানো মুকুট পরানো হয়। মায়ের নাকে তিলক কারণ এখানে মা ভৈরবী পুজোর আগেই মাকে প্রস্তুত করা হয়। এটিই দেবীর রাজবেশ।