মাঘী পূর্ণিমায় ঘটছে বিরল মহা যোগ, এই দিনে গঙ্গাস্নান ও পূজা করলে ঈশ্বর প্রসন্ন হবেন

বছরের পুরো ১২ মাসে যে ১২টি পূর্ণিমা পড়ে তারই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। যেদিন চন্দ্র কর্কট রাশিতে প্রবেশ করে এবং সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে সেদিন মাঘী পূর্ণিমা বা মাঘী পূর্ণিমা হয়। এই বছর মাঘী পূর্ণিমা ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।

 

সূর্য হল জীবনের ভিত্তি, আত্মার কারক এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। তাই সেখানে চাঁদ মনের কারক। সূর্য আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং চন্দ্র মনকে শান্ত রাখে। শাস্ত্র মতে পূর্ণিমা তিথিতে চাঁদের অধিকার রয়েছে। বছরের পুরো ১২ মাসে যে ১২টি পূর্ণিমা পড়ে তারই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। যেদিন চন্দ্র কর্কট রাশিতে প্রবেশ করে এবং সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে সেদিন মাঘী পূর্ণিমা বা মাঘী পূর্ণিমা হয়। এই বছর মাঘী পূর্ণিমা ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।

মাঘী পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা বা পবিত্র নদীতে স্নান ও দান করার রীতি রয়েছে। ধর্ম পুরাণে বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে স্নান করে উপবাস, পূজা ও দান করলে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন।

Latest Videos

মাঘী পূর্ণিমায় এই বিরল মহা কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে

এবারের মাঘী পূর্ণিমা বিরল মহা সমাপতনের কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। মাঘী পূর্ণিমা তিথি ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯ টা বেজে ২৯ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টা ৫৮ মিনিটে শেষ হবে। ক্রমবর্ধমান তারিখ বিবেচনা করে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তারিখে মাঘী পূর্ণিমা উদযাপিত হবে।

মাঘী পূর্ণিমা - শুভ সময়

অভিজিৎ মুহুর্তা - ১২টা ৩০ থেকে ১২ টা ৫৭ পর্যন্ত

বিজয় মুহুর্তা - ২ টো ২৫ থেকে ৩ টে ০৮ পর্যন্ত

গোধূলি মুহুর্তা - ৬ টা ১ থেকে ৬ টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত

সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ - ৭ টা থেকে ১২ টা ১৩ পর্যন্ত

বিরল মহা কাকতালীয় - অশ্লেষা নক্ষত্র এবং চন্দ্র, গুরু এবং শনি, এই তিনটি গ্রহ মাঘী পূর্ণিমায় নিজ নিজ রাশিতে উপবিষ্ট থাকবে। এর সঙ্গে বাশি যোগ, সানফা যোগ, আয়ুষ্মান যোগ, রবিপুষ্য যোগ এবং সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ তৈরি করা হচ্ছে।

মাঘী পূর্ণিমায় এইভাবে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করুন

মাঘী পূর্ণিমার দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তে পবিত্র নদীতে স্নান করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনি যদি পবিত্র নদীতে স্নান করতে না পারেন তবে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে আপনার স্নানের জলে গঙ্গার জল মিশিয়ে বাড়িতে স্নান করুন। স্নান করার সময় মনে মনে ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ জপ করুন । স্নানের পর তামার পাত্রে জল, লাল ফুল, গম ও কালো তিল সূর্যকে অর্পণ করলে পুণ্য লাভ হয়। এরপর ঘরের পূজা ঘরে ঘির প্রদীপ জ্বালিয়ে তাতে চারটি লবঙ্গ দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করুন।

আরও পড়ুন- ৩০ জানুয়ারি থেকে অস্ত যাচ্ছে শনি, সাবধান থাকুন এই ৫ রাশির জীবনে বিপর্যয়ের বৃষ্টি শুরু হবে

আরও পড়ুন- ফ্ল্যাট কেনার আগে এই বাস্তুর নিয়মগুলো জেনে নিন, না হলে সারাজীবন ভুগতে হবে

ভগবদ্গীতা, বিষ্ণু সহস্ত্রনাম বা গজেন্দ্র মোক্ষ পাঠ করুন। এরপর সামর্থ্য অনুযায়ী তিল, কম্বল, ঘি, ফল ইত্যাদি ব্রাহ্মণ ও দরিদ্রদের দান করুন। এতে করে সকল সমস্যা দূর হয় এবং পরিবারের সদস্যদের উন্নতি হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে ঘরে উপস্থিত নেগেটিভ এনার্জি নষ্ট হয়ে পজিটিভ এনার্জি সঞ্চারিত হয়, যার ফলে আপনার সমস্ত কাজ হতে শুরু করে।

Share this article
click me!

Latest Videos

PM Modi Live: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে বিশেষ বার্তা মোদীর, দেখুন সরাসরি
Suvendu Adhikari : স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে বাংলাদেশের হিন্দুদের বিশেষ বার্তা শুভেন্দুর, দেখুন
Suvendu Adhikari Live : স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উদযাপনে শুভেন্দু, দেখুন সরাসরি
Sukanta Majumdar Live: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উদযাপনে সুকান্ত, দেখুন সরাসরি
'ভারত চাইলে ২ মিনিটে ইউনুসকে ফানুস বানিয়ে ছাড়বে', চরম কটাক্ষ করলেন Samik Bhattacharya