সংসারে অশান্তি হওয়ার কারণ অনেক সময়ই হতে পারে বাস্তু। জ্যোতিষ মতে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তি বাড়লে এজাতীয় সমস্যা হয়।
প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন, সে যেন সুখে থাকে, শান্তিতে থাকে, তার জীবনে কোনো ধরনের সমস্যা না থাকে। সেই চেষ্টাই প্রতিনিয়ত মানুষ করে থাকে। কিন্তু একেকটি পরিবার থাকে যেখানে দাম্পত্য কলহ নিত্যদিনের ঘটনা। তা শুধুমাত্র ঝগড়াঝাটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। মাঝে মাঝেই তা হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু মনে রাখবেন সংসারে অশান্তি হওয়ার কারণ অনেক সময়ই হতে পারে বাস্তু। জ্যোতিষ মতে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তি বাড়লে এজাতীয় সমস্যা হয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে কথা বললে, বাড়ির প্রতিটি কোণে ইতিবাচক শক্তি বাস করে। বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে ঘরে নেতিবাচক শক্তি বেশি কার্যকর, সেখানে ধন-সম্পদ ও সুখ লাভের পথে নানা ধরনের বাধা আসে। বাস্তুশাস্ত্রে জীবনে ধন-সম্পদ ও সুখ-সমৃদ্ধি লাভের জন্য এমন ৫টি উপায় বলা হয়েছে, যা করলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি থাকে এবং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সব সময় থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে আজ আমরা এই প্রবন্ধে বাস্তু সংক্রান্ত কিছু নিয়মের কথা বলব, যার ফলে আপনার বাড়ির শান্তি ও মানসিক শান্তিও বজায় থাকবে।
নতুন বাড়ি সম্পর্কে বাস্তু টিপস
১. বাস্তুশাস্ত্রে শিশুদের ঘর বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে তৈরি করা উচিত। শিশুদের দক্ষিণ বা পূর্ব দিকে মাথা রেখে ঘুমানো উচিত। এতে মন শান্ত থাকে।
২. বাড়িতে একটি মেডিটেশন রুম থাকা উচিত, বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণ মেডিটেশন কক্ষের জন্য সেরা বলে মনে করা হয়। মনে রাখবেন আপনার মুখ যেন পূর্ব দিকে থাকে।
৩. নতুন বাড়িতে যাওয়ার আগে হবন করতে হবে। এর ফলে ওই বাড়িতে কোনো নেতিবাচকতা থাকলে তা দূর হয়ে যায় এবং ঘর ইতিবাচক শক্তিতে ভরে ওঠে। ঘরে ঢোকার পর অবশ্যই গঙ্গার জল ছিটিয়ে দিতে হবে।
৪. ভগবান গণেশের পূজা করতে ভুলবেন না, এর ফলে আপনার বাড়ির পরিবেশ সবসময় শান্ত থাকবে এবং আপনার কাজে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।
৫. কান্নারত শিশুদের ছবি, সূর্যাস্তের ছবি ও সমুদ্রের ছবি, বৃষ্টির ছবি কখনই ঘরে লাগাবেন না। এতে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় এবং আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়।
৬. বাড়িতে কখনই পশ্চিম দিকে ভগবানের ছবি লাগানো উচিত নয়। এর কারণে আপনাকে সর্বদা বাধা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
৭. বাড়ির প্রধান দরজায় আমের পাতা ও ফুল শুকিয়ে গেলে সেগুলো তুলে ফেলতে হবে। এর ফলে ঘরে সবসময় নেতিবাচক শক্তি বাস করে।