শিলিগুড়ি পুরসভা পুরবাসীদের জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে মহালয়া উপলক্ষ্যে। বাড়িতে রেডিও বা মোবাইলফোন না থাকলেও মহালয়া শোনা যাবে।
দুর্গা পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিন বাকি রয়েছে মহালয়ার। মহালয়া মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের রাশভারী কণ্ঠে 'আশ্বিনের শারদ প্রাতে...'। মহালয়া মানেই সাত সকালে উঠে রেডিওতে মহালয়া শোনা। কিন্তু স্মার্টফোনের দৌলতে রেডিও হারিয়ে গেছে। মোবাইল ফোনেই অনেকে মহালয়া শোনেন। কিন্তু এবার গোটা শহরেই একসঙ্গে বাজবে মহালয়া। তেমনই ব্যবস্থা করেছে শিলিগুড়ি পুরসভা।
শিলিগুড়ি পুরসভা পুরবাসীদের জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে মহালয়া উপলক্ষ্যে। বাড়িতে রেডিও বা মোবাইলফোন না থাকলেও মহালয়া শোনা যাবে। তাও আবার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠের। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মহালয়া শোনার ব্যবস্থা করা হবে।
শিলিগুড়ি পুরনিগম সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাইক লাগান হবে। বড় বড় চোং লাগিয়ে দেওয়া হবে। তাতে মানুষ বাড়িতে বসেই মহালয়া শুনতে রাহে। এরজন্য একটি কন্ট্রোলরুমও খোলা হয়েছে। সেখানে পুরনিগমের কর্মীরা থাকবে। সেই কন্ট্রোলরুম থেকে সারা শিলিগুড়ি শহরে মহিষাসুরমর্দিনী বা চণ্ডীপাঠ শোনান হবে।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌমত দেব জানিয়েছেন, মহালয়া শোনার জন্য শিলিগুড়িতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই ব্যবস্থা থাকছে। গত বছরও এজাতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এবারও আরও বড় করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি মহালয়ার তিন চার দিন আগেই সারা হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছেন, কলকাতায় ২৬ অক্টোবর কার্নিভাল হবে। সেই দিন শিলিগুড়িতেও পুজো কার্নিভালের আয়োজন করা হবে। শহরের মহাত্মা গান্ধী মোড় থেকে কার্নিভাল শুরু হবে। দুর্গা পুজো যাতে নির্বিঘ্নে কাটে তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন গৌতম দেব। ক্লাব ও বাড়ির পুজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।