আগামী ১১ মার্চ থেকে শুরু হতে পারে রমজান মাস। চলবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। মুসলিমরা রমজানের সময় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একটা রোজা রাখেন।
রমজান , ইসলামি চন্দ্র ক্যালেন্ডারের নবম মাস। সারা বিশ্বের মুসলিমদের পবিত্রমাসগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। মুসলিম ধর্মে রমজানের গুরুত্ব অনেক। এটি উপবার অর্থাৎ রোজা রাখার ও প্রার্থনা করার মাস। এই মাসে ২৯ বা ৩০ দিন কঠোর ব্রত পালন করে।
আগামী ১১ মার্চ থেকে শুরু হতে পারে রমজান মাস। চলবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। মুসলিমরা রমজানের সময় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একটা রোজা রাখেন। সূর্য ওঠার আগে খাবার খায়। আর ইফতারের মাধ্যমে উপবাস ভাঙেন। সাধারণত জল আর খেজুর খেয়েই উপবাস ভাঙা হয়। তবে এই কঠিন সময় নিজের যত্ন নেওয়ার সহজ উপায়গুলি হলঃ
১. মানসিক স্বাস্থ্য
রমজান মাসটি চ্যালেঞ্জিং। এই সময় ফলপ্রসূ হতে পারে যদি আপনির সকাল থেকেই একটি রুটিন ঠিক করে নেন। উপবাস আর কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে পারেন। এই সময় সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলিকেই এই সময় অগ্রাধিকার দেন।
২. শরীরের কথা ভাবুন
রমজানের সময় কঠোর রোজা রাখার জন্য ঘুম বেশি পায়। প্রয়োজনীয় ঘুম অবশ্যই ঘুমাতে হবে। পরিবারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সময়া কাটাতে পারেন।
৩. পুষ্টিকর ইফতার
সন্ধ্যা বা উপবাস ভাঙার খাবার। এই ইফতারে পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন রয়েছে। দীর্ঘ উপবাসের ধকল সইবার জন্য নিয়মিত খেজুর খান। অবশ্যই ফল খাবেন। পরিমাণ মত জল খেতেই হবে। পাশাপশি ঝোল ও স্যুপ জাতীয় খাবার রাখুন পাতে। সবজি ও চর্বিবিহীন প্রোটিন , গোটা শস্য খাওয়ার ওপর জোর দিনয়।
৪. আধ্যাত্মিক প্রতিফলন
রমজান মনন এবং আধ্যাত্মিক বিকাশের একটি বিশেষ সুযোগ দেয়। প্রতিদিন মনন, নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতের জন্য সময় নির্ধারণ করুন। এটা ঈশ্বরের সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে। অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং প্রশান্তি গড়ে তুলতে, ধ্যানের মাধ্যমে মাধ্যমে মননশীলতার অনুশীলন করুন।
৫.ব্যায়াম
রমজানের সময় শারীরিক কার্যকলাপ বজায় রাখুন। এটি স্বাস্থ্য ও জীবনীশক্তির জন্য অপরিহার্য। রোজা রাখলেও ব্যায়াম করতে পারেন। নমনীয়তা, সঞ্চালন এবং মানসিক স্বচ্ছতা উন্নত করার একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।