যাইহোক ধনী হওয়ার জন্য চাল বা ধানের সঠিক ব্যবহার প্রয়োজন। শিব পুজোতেই চালের ব্যবহারের বিধান রয়েছে।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী চাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যেকোনও পুজোতেই চাল বা ধানের ব্যবহার করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রেও চালের গুরুত্ব অপরিসীম। চাল বা ধানের ব্যবহার যদি সঠিক পদ্ধতিতে হয় তাহলে পরিবারে সুখ আর সমৃদ্ধি আসে। জ্য়োতিষ মত বিশ্বাস করা করা এই দানা শস্যটি আপনার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেদিকে পারে- যদি সঠিক ব্যবহার করা হয়।
যাইহোক ধনী হওয়ার জন্য চাল বা ধানের সঠিক ব্যবহার প্রয়োজন। শিব পুজোতেই চালের ব্যবহারের বিধান রয়েছে। সনাতন ধর্মে গোটা চাল অর্থাৎ অক্ষত চাল বা ধানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। অক্ষত চাল বা ধানই দেবতার পুজোয় ব্যবহার করা হয়। চাল বা ধান যদি ভাঙা হয় তাহলে তা দেবতা বা দেবীর পুজোয় কোনও রকম কাজে লাগে না। জ্যোতিষ অনুযায়ী চাল বা ধান মানুষের জীবনে সুখ আর সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। কষ্ট দূর করতেও চাল বা ধানের গুরুত্ব অনেক।
জানুন ধান বা চালের ব্যবহার
ভগবান শিবকে একটি মাত্র চালের দানা নিবেদন করুন। জ্যোতিষ অনুসারে শিবের জলাভিষেক করলেই তিনি খুশি হন। তবে আপনি চাইলে জলাভিষেকের পরে শিবঠাকুরকে একটি চালের দামনা নিবেদন করতে পারে। এটি একটি প্রতিকারও বটে। চালের অক্ষত দানা তুলে নিয়ে তা শিবলিঙ্গে লাগিয়ে দিন। সঙ্গে নিন একটি বেলপত্র। চাইলে বেলপাতাতেও চাল লাগাতে পারেন। তারপরই শিবকে স্নান করান আরও একবার। সেই জল নিজের মুখে আর মাথায় লাগিয়ে ফিরে আসুন। মনে করা হয়- এটি কাজটি করলে ভগবান শিব আপনার মনের ইচ্ছে পুরণ করবেন।
আর্থলাভে চালের প্রতিকার। জ্যোতিষ অনুযায়ী শুক্রবার গুণে গুণে ২১টি চাল নিন। তাতে হলুদ লাগিয়ে একটি লাল রঙের কাপড়ে বেধে একটি বোঝা তৈরি করুন। তাকপর সেই পুটলিটি দেবী লক্ষ্মীর পায়ে নিবেদন করুন। সঙ্গে লক্ষ্মীর পুজো করুন। পুজো শেষে বান্ডিলটি তুলে নিয়ে একটি আলমানি বা লক্ষ্মীর ভান্ডারের মধ্যে রেখে দিন। এই প্রতিকার করলে দেবী লক্ষ্মী আপনার ওপর আশীর্বাদ করবে।
অক্ষত চাল বাস্তু দোষ দূর করে। বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকলে প্রত্যেক সদস্যের উন্নতি আটকে যায় , পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকে। কাজে সাফল্য আসে না। এমন পরিস্থিতিতে এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য বাড়ির মূল দরজায় একটি স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করুন। এরপর প্রতিদিন অক্ষত চাল ও জল নিবেদন করুন সেখানে। এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়বে। পাশাপাশি দেবী লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া যাবে।
পুজোর চাল- পুজোর চাল সর্বদা ধুয়ে ব্যবহার করুন। অপরিচ্ছন্ন চাল দেবতাকে অপর্ণ করলে তিনি তুষ্ঠ হন না।