ধ্যানমন্ত্র অনুসারে দেবী চতুর্ভুজা, লোলজ্বিভা, এলোকেশী। তবে, কালী মানে শুধু একটি রূপ নয়। দেবীর আরও একাধিক রূপ আছে। আজ রইল মা কালীর তিন রূপের কথা। এই তিন রূপে পুজিত হন মা।
আর মাত্র কদিনের অপেক্ষা। তার পরই শুরু হবে আলোর উৎবস। প্রতি বছর মা কালীর পুজোর জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকেন অনেকে। কথিত আছে, এই পুজো বেশ কঠিন। নিষ্ঠা, ভক্তি ও সকল নিয়ম মেনে পুজো করতে হয় মায়ের। তিনি কালের নিয়ন্ত্রণকারী দেবী হলেন তিনি। দশমহাবিদ্যার অন্যতমা তিনি। ধ্যানমন্ত্র অনুসারে দেবী চতুর্ভুজা, লোলজ্বিভা, এলোকেশী। তবে, কালী মানে শুধু একটি রূপ নয়। দেবীর আরও একাধিক রূপ আছে। আজ রইল মা কালীর তিন রূপের কথা। এই তিন রূপে পুজিত হন মা।
শ্যামাকালী
দেবীর গাত্রবর্ণ নীল। দিগম্বরী নন। কোথাও শাড়ি কোথাও ডাকের সাজে দেখা যায় তাঁকে। দেবী নানান অলঙ্কারে ভূষিতা। কালীর ধ্যানমন্ত্রের সঙ্গে তাঁর মিল আছে। দেবীর পদতলে থাকে মহাদেব। কার্তিক অমবস্যায় যে কালী পুজোর চল আছে, সেখানে মূলত এই দেবী মূর্তিই দেখা যায়। আপাতভাবে কৃষ্ণবর্ণের কালী মূর্তির আরও এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিখ্যাত সব কালীমূর্তি তথা ভবতারিণী, করুণাময়ী, সিদ্ধেশ্বরী সবার ক্ষেত্রেই এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
দক্ষিণাকালী
দক্ষিণাকালীর ও শ্যামাকালীর মধ্যে অমিল বলতে স্রেফ গাত্রবর্ণ ও পায়ের অবস্থা। কার্তিক অমাবস্যায় পুজিত হন দুই দেবি। অধিকাংশ মন্দিরে দক্ষিণাকালী ও মণ্ডপে শ্যামাকালী থাকেন।
রক্ষণাকালী
রক্ষণাকালী রূপেরও পুজোয় হয়। দক্ষিণাকালীর মূর্তির মতোই ইনি কৃষ্ণবর্ণ। তবে দেবীর লোলজিহ্বা নেই। দেবীর হাতের সংখ্যা দুটি। সাধারণত দেবীর এই রূপের পুজো হয় বৈশাখ মাসের শেষের দিকে। গ্রামে গ্রামে দেবীর বাৎসরিক পুজোর চল আছে। শ্মশানকালীর প্রচলিত মূর্তিটিও ঠিক এমন। বিখ্যাত কেওড়াতলা মহাশ্মশানে দেবীর এই রূপের পুজো হয়। তন্ত্রবিদ্যায় পারদর্শী কেউ দেবীর এই সব বিশেষ রূপের পুজো হয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন
সোনা পরলে কি সৌভাগ্য আসে? ভাগ্য খোলে? জেনে নিন সোনার গয়না পরার সঠিক উপায়
Diwali: দীপাবলির রাতে কীভাবে প্রদীপ জ্বাললে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন, দেখুন ছবিতে