বৈদিক যুগে আর্যরা সূর্যকে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা মনে করত এবং বলত যে, যাঁকে সূর্য দেবতা আশীর্বাদ করেন, তাঁর জীবনে আসা সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং রোগ থেকেও মুক্তি পায়।
সনাতন ধর্মে, রবিবারকেও খুব বিশেষ বলে মনে করা হয় এবং এই দিনে ভগবান সূর্যের পূজা করা হয়। মানুষ সূর্যের আশীর্বাদ পেতে এবং বিশেষ করে এই উপবাসের নিয়ম অনুসরণ করার জন্য রবিবার একটি উপবাস পালন করে। ধর্মীয় শাস্ত্রে রবিবারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্রে, ভগবান সূর্যকে বিশ্বের আত্মা বলা হয়েছে এবং এই পৃথিবীতে জীবন সূর্য থেকে আসে। বৈদিক যুগে আর্যরা সূর্যকে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা মনে করত এবং বলত যে, যাঁকে সূর্য দেবতা আশীর্বাদ করেন, তাঁর জীবনে আসা সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং রোগ থেকেও মুক্তি পায়। আপনিও যদি সূর্য দেবতার আশীর্বাদ পেতে চান, তবে অবশ্যই রবিবার কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে ভগবান সূর্যের পূজা করা হয় এবং এই দিনে লাল এবং হলুদ রঙের পোশাক পরা শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়া এই দিনে গুড় খাওয়াও ভালো। এছাড়াও পুজোর পর কপালে লাল চন্দন ব্যবহার করতে হবে।
রবিবার সূর্য দেবতাকে উৎসর্গ করা হয় এবং এই দিনে ভগবান সূর্যকে খুশি করতে এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে উপবাস পালন করা হয়। কিন্তু উপবাসের কিছু নিয়ম আছে, যা না মানলে উপোস করা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। অতএব, নিয়ম মনে রাখতে ভুলবেন না।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তি রবিবার উপবাস করেন তার যথাযথ আচারের সাথে সূর্য দেবতার পূজা করা উচিত এবং তাকে অর্ঘ্য প্রদান করা উচিত। মনে রাখবেন এই দিনে শুধুমাত্র ফল খান এবং সূর্যাস্তের আগে ভুল করেও লবণ ব্যবহার করবেন না। সূর্যাস্তের আগে শুধুমাত্র মিছরি বা মিষ্টি খাবার খান।
রবিবার শুধু ব্যক্তি নয় পরিবারের সকল সদস্যেরই কপালে চন্দনের তিলক লাগাতে হবে। এর ফলে পরিবারে সূর্য দেবতার আশীর্বাদ থাকে।
রবিবার অর্থ সংক্রান্ত কোনও কাজ করা উচিত নয়। এই দিনে কোনো ধরনের লেনদেন না করার চেষ্টা করুন। উত্তর-পূর্ব দিকটি ইশান কোণ নামে পরিচিত। এই দিকের অধিপতি সূর্য দেবতা। এ দিকে বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।